স্টাফ রিপোর্টার :
অবশেষে ডিবি পুলিশের জালে আটক হয়েছে নগরীতে ভারতীয় অবৈধ সুপারির চোরাকারবারি, ইয়াবা-ফেনসিডিল সহ নানা ধরনের মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্র সরবরাহকারী ৯ মামলার আসামী ছালেহ আহমদ উরফে সালেহ আহমদ (৪৫)। এ সময় পুলিশ তার অবৈধ কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও আটক করে। গ্রেফতারকৃত ছালেহ আহমদ উরফে সালেহ ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ছত্রিশ গ্রামের মৃত মিনার আলীর পুত্র। বর্তমানে সে নগরীর যতরপুর এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পূর্ব কাজিরবাজারে ভারতীয় অবৈধ সুপারির মূল চোরাকারবারি ছালেহকে ২০৫ পিস ইয়াবা সহ আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে (ঢাকা মেট্রো গ- ১২-৮৯৫৭) নং কালা রংয়ের একটি প্রাইভেটকার আটক করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে চিহ্নিত চোরাকারবারি ছালেহ আহমদ উরফে সালেহ দীর্ঘদিন থেকে ভারতীয় অবৈধ সুপারির ব্যবসার সাথে জড়িত। সে ভারত থেকে চোরাই পথে এসব সুপারি সিলেট নগরীতে নিয়ে আসে এবং নগরীর প্রধান সুপারির বাজার পূর্ব কাজিরবাজারের বিভিন্ন দোকানে রাতে আঁধারে সাপ্লাই দিয়ে থাকে। শুধু তাই নয় সুপারির আড়ালে সে ভারত থেকে অবৈধ পথে ইয়াবা-ফেনসিডিল সহ নানা ধরনের মাদকও নিয়ে আসে। সেগুলো তার নিজস্ব লোকজন দিয়ে নগরীর বিভিন্ন মাদক স্পটে বিক্রি করে থাকে। ধৃত ছালেহ এসব অবৈধ ব্যবসার পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসার সাথেও জড়িত বলে স্থানীয় অনেকেই জানিয়েছেন। সে তার প্রাইভেটকার যোগে তার লোকজনকে দিয়ে আবার কখনও সে নিজে মাদক বিভিন্ন স্পটে পৌঁছিয়ে দিয়ে আসে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন ছালেহ’র একটি নিজস্ব গ্র“প রয়েছে। যারা অবৈধ চোরাচালান, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত। সে পূর্ব কাজিরবাজারের বিভিন্ন দোকানে সুপারির চালানের টাকা প্রতি সোম ও শুক্রবার তুলতে আসে। গতকাল ডিবি পুুলিশের জালে নগরীর চিহ্নিত চোরাকারবারি ও মাদক ব্যবসায়ী ছালেহ আহমদ উরফে সালেহ আহমদ গ্রেফতার হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ এলাকার লোকজন স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন তাকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার চোরাচালান সহ মাদক ব্যবসার নানা তথ্য বেরিয়ে আসবে। সেই সাথে স্থানীয়রা তার সহযোগীদেরও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।