স্পোর্টস ডেস্ক :
সাউদাম্পটনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেছেন জ্যাক ক্রলি। এই ইনিংসের কল্যাণে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের হয়ে অষ্টম টেস্ট খেলতে নেমেছেন ক্রলি। আগের ৭ টেস্টে কোনো সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবলে রুপ দিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলেছেন ক্রলি।
ইংল্যান্ডের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ডাবলে রূপ দিলেন ক্রলি। রান বিবেচনায় দিয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ও বিশ্বের মধ্যে সপ্তম স্থানে ক্রলি। ১৯০৩ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ২৮৭ রানে নিয়ে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের টিপ ফস্টার। এই তালিকায় সবার উপরে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্স। ১৯৫৮ সালে কিংস্টনে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ট্রিপলে রুপ দিয়ে অপরাজিত ৩৬৫ রান করেছিলেন সোবার্স।
গেল ২৫ বছরের মধ্যে ভারতের করুন নায়ার ও ক্রলি যথাক্রমে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিকে ট্রিপল ও ডাবলে রুপ দিয়েছেন। ২০১৬ সালে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৩০৩ রান করেছিলেন নায়ার।
বিশ্বের পঞ্চম ও দেশের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে কম বয়সে টেস্টে ডাবল-সেঞ্চুরি করলেন ক্রলি। ২২ বছর ২০০ দিনে ডাবল-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি। ইংল্যান্ডের পক্ষে ১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২২ বছর ৫৮তম দিনে ডাবল-সেঞ্চুরি করে রেকর্ডটি দখলে রেখেছেন লেন হাটন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন ক্রলি। ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্টে তিন নম্বরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানে দ্বিতীয় স্থানে নাম লেখালেন ক্রলি। শীর্ষে আছেন ওয়ালি হ্যামন্ড। ১৯৩৩ সালে অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৩৩৬ রান করেছিলেন হ্যামন্ড।
টস জিতে সাউদাম্পটনে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। ১২৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় তারা। এরপর পঞ্চম উইকেটে ৩৫৯ রানের জুটি গড়েন ক্রলি ও জশ বাটলার। এতে টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের পক্ষে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়ে ফেলেন ক্রলি ও বাটলার। ১৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩১১ বলে ১৫২ রান করেন বাটলার।
৩৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৯৩ বলে ২৬৭ রান করে স্টাম্পড হন ক্রলি। যার মাধ্যমে ৫১ বছরের পুরনো রেকর্ড ভাঙ্গলেন তিনি। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসে স্টাম্পড হয়ে রেকর্ড গড়েন ক্রলি। ১৯৬৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে ২৫৮ রান করে স্টাম্পড হয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিমুর নার্স।