বাস ভাড়া নিয়ে জন অসন্তোষ

29

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার নীতিগত বিধান করে জনসাধারণের চলাচলের জন্য পরিবহনে বর্ধিত ভাড়ায় বাস চালু করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের দেয়া নীতিগত বিধান মতে সমাজিক দূরত্ব বজায়, সুরক্ষা নীতি বাস্তবায়নে পরিবহন সংস্থা যথারীতি মতে চলাচল করতে পারেনি। যেভাবে পরিবহনে স্বাস্থ্য বিধি মানার কথা ছিল তাহা না মেনে প্রতিটি বাসে বর্ধিত ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হচ্ছে। যে কোন মুহূর্তে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার আশংকা বিরাজ করছে।
বাস ভাড়া নিয়ে সিলেট অঞ্চলে চলছে নৈরাজ্য। সিলেটের প্রতিটি সড়কে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাস স্টেশন থেকে চলে গেলেও কিছু দূর যাওয়ার পরই আর কোন স্বাস্থ্য বিধি মানার কোন তোয়াক্কা করে না বাস চালকরা। যদি ও চালক-হেলপারদের স্বাস্থ্য বিধি মানার কথা কিন্তু চালক-হেলপার এমকি যাত্রীদের অধিকাংশের মাস্ক পরতে দেখা যায় না। তদারকির অভাবে পরিবহন সেক্টরে কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার লক্ষণ দেখা যায় না। কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বর্ধিত ভাড়া আদায় করায় জনমনে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটের প্রতিটি সড়কে পরিবহনে স্বাস্থ্য বিধিকে তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে যাত্রীদের কাছ থেকে বর্ধিত ভাড়া আদায় করাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সড়কে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হলে বাস মালিক পক্ষ বাস ভাড়া কমানোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। যে সব যাত্রী বর্ধিত ভাড়া দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেতে চাইবে তারা সরকারের নির্ধারিত বর্ধিত ভাড়া পরিশোধ করে যেতে পারবে।
এদিকে সরকারের ঘোষণা মোতাবেক ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত বর্ধিত ভাড়ায় পরিবহন গুলো চলাচল করার কথা রয়েছে। যদিও পরিবহন সংস্থার বাস গুলো সড়কে নামানো হয়েছিল, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাচল করবে, কিন্তু সিলেটে তার উল্টো ভাবে চলাচল করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কোন মাথা ব্যথা নেই বলে অনেকে মনে করছেন। এ ছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সিট অনুযায়ী আগের ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
কোভিট-১৯ করোনা সংক্রমণ মহামারির প্রাদুর্ভাব কমেনি, তাই জন-স্বার্থে যানবাহন সহ সর্বত্র স্বাস্থ্য বিধি তদারকি সহ বাস ভাড়া সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এগিয়ে আসা খুবই জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।