স্পোর্টস ডেস্ক :
আগামী শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট খেলতে নামবে পাকিস্তান। সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে নিজ দলের খেলোয়াড়দের ফিটনেসে খুশি পাকিস্তানের কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ উল হক।
করোনা ভাইরাসের কারণে তিন সপ্তাহে তিনটি টেস্ট খেলতে হচ্ছে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের।
দারুণ পারফরমেন্স করে ৩ উইকেটে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতেছিল ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় টেস্টে খুব বেশি মাঠে নামতে হয় দুদলকে। কারণ বৃষ্টির জন্য পাঁচদিনে খেলা হয়েছে ১৩৪ দশমিক ৩ ওভার। ফলে ম্যাচ ড্র হয়। ফলে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে এখন ইংলিশরা।
২০১৪ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা মিসবাহ, দীর্ঘদিন ধরে খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে সচেতন ছিলেন।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ওয়েবসাইটে লেখা এক কলামে মিসবাহ বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে আমি দলের কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ফিটনেস কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়ায় এবং আমরা দুটি টেস্টে সেই সুবিধাগুলো লক্ষ্য করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনার কারণে বাড়িতে তিন মাস থাকার পর, খেলোয়াড়রা তাদের ফিটনেসের দায়িত্ব নিজেরাই নিয়েছে। এজন্য তাদের কৃতিত্ব দেয়া উচিত। তারা জানে, চাপের মধ্যে পারফরমেন্স করতে ফিটনেস অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।’
সিরিজের প্রথম টেস্টে হারলেও, ওপেনার শান মাসুদ ১৫৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ম্যানচেস্টারে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান যখন চাপের মুখে পড়েছিল তখন ৭২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাই ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
মিসবাহ বলেন, ‘রিজওয়ান যেভাবে ব্যাট করেছে, তা ফিটনেসের সেরা উদাহরণ। তার রানিং বিটুইন দ্য উইকেট ও টেল-এন্ডারদের নিয়ে রিজওয়ানের লড়াই সেটিই প্রমাণ করে।’
মাসুদের ইনিংস নিয়ে মিসবাহ বলেন, ‘প্রথম টেস্টে মাসুদ সেরাটা প্রদর্শন করেছে। প্রায় আট ঘণ্টা ব্যাট করেছে। শাদবের সাথে রানিং বিটুইন দ্য উইকেটও ভালো ছিল। তারা যেভাবে সিঙ্গেল রানগুলো নিয়েছে, তা টেস্ট ক্রিকেটে খুব বেশি দেখা যায় না এবং অবশ্যই পাকিস্তান দলে নয়।’