জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে অসংখ্য বাড়িঘর বিলীন

12

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে ঐতিহ্যবাহী কুশিয়ারা নদী এক সময় ছিল আশির্বাদ। বর্তমানে অভিশাপে পরিণত হয়েছে। দিনে দিনে নদী ভেঙে বড় হলেও ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর তলদেশ। নদীর উত্তাল ঢেউ ও পানির স্রোতে প্রতি বছর নদী পাড়ের বাড়িঘর ভেঙে যাচ্ছে। বিগত প্রায় ১০ বছরে শতশত বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে অনেক মানুষ অন্যের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, স্কুল, মসজিদ, খেলার মাঠ, হাট-বাজার, গ্রামীণ রাস্তাঘাট সহ অনেক কিছু গিলে খেয়েছে রাক্ষুসে কুশিয়ারা। এখনো বাড়িঘর সহ অসংখ্য স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে। নদীর পানি কমতে শুরু করলে নদী ভাঙনে এসব স্থাপনা নদীতে চলে যাবে। এমন আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী জনতা।
ইতোমধ্যে উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের রৌয়াইল, আলমপুর, নোয়াগাঁও, বাগময়না, রাণীগঞ্জ বাজার ও পাইলগাঁও ইউনিয়নের বড়ফেছি বাজার সহ বিভিন্ন স্থানের বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীতে চলে গেছে বলে স্থানীয়রা জানান। এ ব্যাপারে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মজলুল হক বলেন, এর মধ্যে আমার ৪টি বাড়ি নদীতে চলে গেছে। বর্তমান বাড়ির অধিকাংশ বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের কবলে থাকা বাড়ির অবশিষ্ট দালান বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাবো। শুধু আমার পরিবারের কমপক্ষে ২০টি বাড়ি বিলীন হয়েছে। এছাড়া বিগত ১০ বছরে প্রায় ৫ শতাধিক বাড়িঘর, স্কুল, মসজিদ, রাস্তা সহ অনেক স্থাপনা বিলীন হয়েছে। যদিও নদী ভাঙন রোধে একটি প্রকল্পে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ডিও লেটার দিয়েছিলেন এবং জাতীয় সংসদেও উপস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু অধ্যাবধি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই নদী ভাঙনে রোধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।