শামসুদ্দিন হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা কমছে

3

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে করোনা চিকিৎসার ডেডিকেটেড শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে দিনে দিনে কমছে করোনায় আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা। মহামারি এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সিলেটে শুরু হওয়ার পর প্রথম দিকে এই হাসপাতালে রোগীর স্থান সঙ্কুলান না হলেও বর্তমানে খালি পড়ে আছে অনেক সিট। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে শনিবার রাত পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৫ জন। করোনা রোগী না থাকায় বাকি ৩৫টি সিট ছিল একেবারে খালি।
জানা গেছে, সিলেটে গত ৫ এপ্রিল সর্ব প্রথম শনাক্ত হয় করোনা রোগী। এরপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সিলেটসহ সারা দেশে করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে দেখা দেয় বড় ধরণের আতঙ্ক। পাশাপাশি রোগী বাড়ায় সিলেটে সরকারিভাবে করোনা চিকিৎসার একমাত্র শামসুদ্দিন হাসপাতালে রোগীদের তিল ধারণের ঠাই ছিল না। ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে গত মে, জুন ও জুলাই মাসের প্রথম দিক পর্যন্ত প্রায় সময়ই পূর্ণ থাকতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। যার কারণে সিলেটে সরকারিভাবে বাড়ানো হয় করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য নতুন হাসপাতাল। শাহপরানের খাদিমপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি শুরু করা হয় করোনাভাইরাসের রোগী। পাশাপাশি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকেও করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করেন সিলেটের স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু বর্তমানে সিলেটে দিনে দিনে কমছে করোনা আক্রান্ত রোগী। তথ্যানুসারে জুলাই মাসের মধ্যভাগ থেকে সিলেটে মহামারি করোনাভাইরাসের রোগী কমতে শুরু করে। এর আগে প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষায় পাওয়া যেত অসংখ্য করোনা রোগী। শুক্রবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে ২৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় মাত্র ১৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর শনিবার ওসমানীর ল্যাবে ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৯ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে করোনা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা তৈরি হয়েছে। প্রথম দিকে করোনাভাইরাস যেভাবে কাবু করেছিলো এখন সেভাবে পারছে না। এছাড়া আমাদের দেশে ভাইরাসটি দিনে দিনে দুর্বল হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। যার কারণে কমতে শুরু করেছে করোনা রোগীর সংখ্যা।
শামসুদ্দিন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) জন্মেজয় দত্ত, বলেন, গত এক মাস যাবত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া করোনা রোগী ৬৫-৭০ জনের মধ্যে। একমাস পূর্ব পর্যন্ত ১০০’র কাছাকাছি রোগী থাকতেন বলে জানান তিনি।