স্বাভাবিক হচ্ছে ট্রেন চলাচল ॥ ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস চলাচল শুরু, ঢাকার বাইরে চলছে ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন

5

স্টাফ রিপোর্টার :
করোনায় আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা করোনা মহামারির কারণে স্থবির হয়ে পড়া রেল চলাচল আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। নতুন করে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর এবং এক জোড়া কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল রবিবার সকাল থেকে ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবাত এক্সপ্রেস চলাচল শুরু হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রুটে এই ১৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
বিষয়ট নিশ্চিত করেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, করোনার কারণে রেল চলাচলে স্থবির ছিলো। মানুষের ভোগান্তি কমাতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আবারও চালু হয়েছে রেল চলাচল। রবিবার থেকে ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করছে। তিনি জানান, সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস বন্ধ থাকবে। এছাড়া প্রতিদিন সিলেট থেকে পারাবত এক্সপ্রেস ৩টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে গিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত পৌনে ১০টায় এবং ঢাকা থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে ছাড়ার পর পারবত এক্সপ্রেস সিলেট আসবে বেলা ১টায়।
জানা যায়, নতুন চালু হওয়া ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে-রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে পদ্মা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস, ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটে হাওড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-তারাকান্দি-ঢাকা রুটে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-চিলাহাটি-রাজশাহী রুটে তিতুমীর এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে মহানগর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে একতা এক্সপ্রেস, খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে বিজয় এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি-খুলনা রুটে সীমান্ত এক্সপ্রেস, গোবরা-রাজশাহী-গোবরা রুটে টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস। এছাড়া ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার-ঢাকা রুটে জামালপুর কমিউটার ট্রেন চালু হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানের মোট ১৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করছে। গতকাল রেলের বহরে যুক্ত হলো আরও ১৩ জোড়া ট্রেন। সব মিলিয়ে এখন চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৩০ জোড়ায়।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। গত ৩১ মে প্রথম দফায় ৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা হয়। ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ১১ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন বাড়ানো হয়। বর্তমানে সব মিলিয়ে এখন চলাচল করা৮ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ জোড়া অর্থাৎ ৬০টি।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগের মতো একসাথে অনলাইনে ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বিক্রয় করা হবে। যাত্রীদের সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কোচের ধারণক্ষমতার শতকরা ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। আন্তঃনগর ট্রেন সকল প্রকার স্ট্যান্ডিং টিকিট সুসম্পন্ন বন্ধ থাকবে।