চিটাগং ভাইকিংসের বিদায় ফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল ঢাকা ডায়নামাইটস

57

স্পোর্টস ডেস্ক :
বিপিএলে এলিমিনেটর ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের দল চিটাগং ভাইকিংসকে বিদায় করে ফাইনালে ওঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল ঢাকা ডায়নামাইটস। সোমবার মিরপুরে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে চট্টগ্রামকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। বোলিংয়ে চার ওভারে ১৫ রান দিয়ে চার উইকেট নেয়ার পর ব্যাটিংয়ে ১৬ বলে ৩১ রান করে ম্যাচ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের সুনিল নারিন।
এই জয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে জায়গা করে নিল ডায়নামাইটসরা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী বুধবার। ওই ম্যাচে জিততে পারলেই ফাইনালে উঠে যাবে সাকিবের দল।
সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে চিটাগং ভাইকিংসের দেয়া ১৩৬ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৬.৪ ওভারে জয় তুলে নেয় ঢাকা ডায়নামাইটস। দলের পক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেন উপুল থারাঙ্গা। ৪৩ বলে সাতটি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন তিনি। এছাড়া সুনিল নারনি ৩১, রনি তালুকদার ২০ ও নুরুল হাসান ২০ রান করেন। চিটাগং ভাইকিংসের বোলারদের মধ্যে খালেদ আহমেদ ৩টি ও নাঈম হাসান ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি ঢাকার। শুরুটা দুর্দান্ত করেন দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা এবং নারিন। ঝড়ো ইনিংস খেলে পঞ্চম ওভারে ফিরে যান নারিন। যাওয়ার আগে ১৬ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
এরপর রনি তালুকদারকে নিয়ে এগিয়ে যান থারাঙ্গা। ১১তম ওভারে পরপর দুই বলে রনি এবং সাকিবকে ফিরিয়ে চিটাগংয়ের আশা জাগান খালেদ। ১৪তম ওভারে থারাঙ্গাকে সাজঘরে পাঠান নাঈম। এরপর নুরুল হাসান আর পোলার্ডের ব্যাটে ২০ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সাকিব আল হাসানের দল।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে চিটাগং ভাইকিংস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন। এছাড়া ক্যামেরন দেলপোর্ট ৩৬ ও সাদমান ইসলাম ২৪ রান করেন। ঢাকার বোলারদের মধ্যে সুনিল নারিন ৪টি, রুবেল হোসেন ১টি ও কাজী অনিক ১টি করে উইকেট শিকার করেন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চার ওভারে ১১ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।
ইয়াসির আলীকে নিয়ে চিটাগংয়ের শুরুটা করেন ক্যামেরন দেলপোর্ট। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফিরে যান ইয়াসির। এরপর দেলপোর্টের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সাদমান ইসলাম। অষ্টম ওভারে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন দেলপোর্ট। যাওয়ার আগে ২৭ বলে পাঁচটি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ রান করেন তিনি। দশম ওভারে নারিনের বলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। একে একে ফিরে যান সাদমান, শানাকা, ফ্রাইলিঙ্ক ও হার্ডাস। তবে শেষের দিকে মোসাদ্দেকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের উপর নির্ভর করে শেষ পর্যন্ত ঢাকার সামনে ১৩৬ রানের টার্গেট রাখে চিটাগং ভাইকিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফল: ৬ উইকেটে জয়ী ঢাকা ডায়নামাইটস।
চিটাগং ভাইকিংস ইনিংস: ১৩৫/৮ (২০ ওভার)
(ইয়াসির ৮, দেলপোর্ট ৩৬, সাদমান ২৪, মুশফিকুর ৮, মোসাদ্দেক ৪০, শানাকা ৭, ফ্রাইলিঙ্ক ১, হার্ডাস ১, নাঈম ৬*, রাহি ১*; রাসেল ০/২১, সাকিব ০/১১, রুবেল ১/২৭, শুভাগত ০/১৩, নারিন ৪/১৫, মাহমুদুল ০/১০, অনিক ১/৩৬)।
ঢাকা ডায়নামাইটস ইনিংস: ১৩৬/৪ (১৬.৪ ওভার)
(থারাঙ্গা ৫১, নারিন ৩১, রনি তালুকদার ২০, সাকিব ০, নুরুল ২০*, পোলার্ড ৭*; ফ্রাইলিঙ্ক ০/১৩, নাঈম হাসান ১/২৮, রাহি ০/২২, হার্ডাস ০/৩৩, খালেদ ৩/২০, দেলপোর্ট ০/১১, শানাকা ০/৬)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সুনিল নারিন (ঢাকা ডায়নামাইটস)