কাজিরবাজার ডেস্ক :
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের মধ্যে রিটকারী ২ হাজার ৫০০ জনকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে আরও সাতটি আপিল করা হয়েছে।
আড়াই হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিষয় আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছিল। মামলায় রায়ে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানিয়েছেন এনটিআরসিএর আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
চাকরি প্রত্যাশীদের আরেক আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট আপিলের বিষয়ে জানতে ইতোমধ্যে ক্যাবিয়েট দিয়ে রেখেছি। আপিলের আইনগত মোকাবেলা করতে প্রস্তুত আছি। আশা করছি নির্ধারিত শুনানির দিনে আমাদের আইনি যুক্তি তুলে ধরবো।
এদিকে রিটকারীদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ বলেন, আমরা আপিলের বিষয়টি শুনেছি। আমাদের রায়ের বিরুদ্ধে আজ ৭টি আপিল করা হয়েছে। আগের একটিসহ এ নিয়ে মোট আটটি আপিল করা হয়েছে। আপিলে আমরা আমাদের আইনী যুক্তি তুলে ধরবো। আশা করি হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ বহাল রাখবেন।
গত ৩১ মে হাইকোর্ট আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আড়াই হাজার শিক্ষককে নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ বাস্তবায়ন করে কোর্টকে জানাতে বলেছিল। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে চাকরি প্রত্যাশীদের পক্ষে অংশ নেন খুরশিদ আলম খান, মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ। এর মধ্যে সিদ্দিক উল্লাহ এক হাজার জন ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ আটশ জনের পক্ষে মামলা করেছেন। তারা জানিয়েছেন, এ সংখ্যাসহ মামলাকারীর সংখ্যা হবে প্রায় আড়াই হাজার।
আদালত থেকে বেরিয়ে নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও ব্যারিস্টার মহিউদ্দিন মো. হানিফ বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে আদালত অবমাননার আবেদনকারীদের নিয়োগের সুপারিশ করতে এনটিআরসিএর প্রতি বলা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ মে হাইকোর্টের একই ভার্চুয়াল বেঞ্চ এনটিআরসিএ কর্তৃক ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রায় আড়াই হাজার চাকরি প্রত্যাশীকে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করার জন্য ৭ দিন সময় দিয়েছিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, ৫৪ হাজার নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিয়ে জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
২০২১ সালের ৭ মার্চ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষকে ১ থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। আদালতের ওই আদেশ বাস্তবায়ন না করায় পুনরায় এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি করে আজ আদালত এ আদেশ দিলেন।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।