পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালকের বিরুদ্ধে দুদকে পাথর ব্যবসায়ীর অভিযোগ

18

সিলেট বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক এমরান হোসেনের নানা অনিয়ম দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৪’শ পাথর ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতি সহ নানা অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশন, সিলেটের উপপরিচালক মো. নুর-ই আলম বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন পাথর ব্যবসায়ী মো. মদরিছ আলী। রবিবার (৯ আগষ্ট) বিকেলে তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন। মদছির আলী গোয়াইনঘাটের ফেনাইকোণা গ্রামের মৃত মকরম আলীর পুত্র ও মেসার্স লাকী এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বিগত ১০/০৭/২০২০ ইং তারিখ পরবর্তী আমি সহ ৪ শতাধিক পাথর ব্যবসায়ী উপর ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন। পরপর ৩ বার নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হয়রানি করেছেন। তিনি তার পদ ও পদবী ব্যবহার করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ খনিজ সম্পদ আইন এবং বিধিমালা অনুযায়ী খনিজ সম্পদ ব্যুরোর এখতিয়ারভুক্ত পণ্য পাথর বে-আইনী জব্দনামা করত: নিজের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে তিন দফা নিলাম ও পুন: নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। আমি দরখাস্তকারী তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অত্র কর্মকর্তাকে অত্র কাজ করতে বারণ করি এবং ইহা যে তার এখয়তিারভুক্ত নয় তা লিখিত ও মৌখিক ভাবে অবহিত করি। পরবর্তীতে আমি সহ লোভাছড়া পাথর কোয়ারীর পাথর ব্যবসায়ীগণ তাদের সমিতির পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করিলেও তা আমলে না নিয়া তিনি তার আইন বহির্ভূত ক্ষমতার অপব্যবহার করিবার চলমান কার্যক্রম বন্ধ করেন নাই। তখন আমি সহ আমার সহ ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস জন্মইয়াছে যে, তিনি স্বজ্ঞানে বুঝিয়া ব্যবসায়ীদের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে এই বে-আইনী কর্ম ক্ষমতার অপব্যবহার করিয়া করিতেছেন। তাই নিম্ন বর্ণিত তথ্য ও দলিল সহ অভিযােগ আপনার নিকট উপস্থাপন করিলাম।
তাই আমি এবং অন্য ব্যবসায়ীগণের এই ক্ষতিগ্রস্ত করার বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত প্রতিকার পাওয়া একান্ত আবশ্যক। অন্য ৪শ ব্যবসায়ী মৌখিক ও দালিলিক সাক্ষী প্রদান করিবেন। বিজ্ঞপ্তি