ছনি চৌধুরী হবিগঞ্জ থেকে :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের সংস্কার কাজ নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস বিলম্বে সম্পন্ন করেও উদ্বোধনের আগেই বেহাল দশা দেখা গেছে। ভেঙে গেছে এ সড়কটির অনেক অংশ। সড়কের অনেকস্থানে বড় বড় গর্তেরও সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্যে- সড়কে তৈরি হয়েছে মরণ ফাঁদ। জনগুরুত্বপূর্ণ নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের অনেক স্থানে উঠে গেছে কার্পেটিং। নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের কারণেই উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেছে সড়ক এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষের। যদিও ইতোমধ্যে সড়কটির ভাঙা অংশ সংস্কার করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে চিঠি দিয়েছে নবীগঞ্জ এলজিইডি অফিস।
এলজিইডির সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের শেষের দিকে নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার অংশ জুড়ে ৮ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়। পরে কাজটি টেন্ডারে পায় হবিগঞ্জের ঠিকাদার মিজানুর রহমান শামীমের প্রতিষ্ঠান মের্সাস হাসান বিল্ডার্স। কার্যাদেশ পাওয়ার পর গত ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে এ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে ও নিম্নমানের মালামাল দিয়ে এ সড়কর কাজ করে আসছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও ধীর গতিতে মনগড়া কাজ করায় সময়সীমাও শেষ হয়ে যায়, কিন্তু কাজ সম্পন্ন করা হয়নি। এতে তখন সময় ভোগান্তিতে পড়েন ওই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। এ ঘটনায় তখন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় এতে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। এরপর দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয় এলজিইডি অফিস। এরপর নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার প্রায় ৬ মাস বিলম্বে মনগড়া কাজ সম্পন্ন করা হয়। সড়কের সংস্কার কাজ শেষে বর্তমানে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের কারণে কাজ শেষ করার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গিয়ে সৃষ্টি হয় গর্তের, উঠে যায় সড়কের কার্পেটিং।
এরই মধ্যে নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের চৌধুরী বাজার নিকটে সড়কের মধ্যখানে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও নাদামপুর মাদ্রাসা পয়েন্টে ইতোমধ্যে সড়ক ধ্বসে গেছে। এর বাহিরেও নাদামপুর স্কুল, বাউসা পয়েন্ট, বাউসা মাদ্রাসা পয়েন্ট, রিফাতপুর, বাউসা বাজারসহ সড়কের অধিকাংশস্থানের কার্পেটিং উঠে গেছে এবং ভেঙে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ফারাবি হাসান নামে এক কলেজে শিক্ষার্থী জানান, এই সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক, র্দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সংস্কার হলেও নিম্নমানের মালামাল ব্যবহার করায় সড়কটির অধিকাংম স্থান ভেঙে গেছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সাব্বীর আহমেদ বলেন, নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক, পাহাড়ি ঢলের কারণে সড়কর ভাঙা অংশ সংস্কার করে দেয়ার জন্য আমরা ইতিমধ্যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠিয়েছি।