বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) বাস্তবায়ন মূল্যায়নে দেশের সকল সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম হওয়ার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সকল বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তা কর্মচারীদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) অগ্রগতি পর্যালোচনা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বিষয়ক সভায় মেয়র বলেন, ই-নথি চালুর ফলে নাগরিক সেবা আরো গতিশীল হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সিসিকের সকল বিভাগ ও শাখার কার্যক্রম ই-নথির আওতায় আনা হবে। ফলে নাগরিক সেবা প্রদানে আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
সিসিক মেয়র বলেন, ‘এপিএ’ বাস্তবায়নে দেশের সকল সিটি করপোরেশনে মধ্যে প্রথম ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ২৪ টি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের সিসিক তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। এ জন্য সিসিকের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এই দুই পর্যায়েই দেশ সেরা হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এর জন্য সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিষ্ঠার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
বুধবার (২৯ জুলাই ২০২০) সকালে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ‘এপিএ’র সদস্য সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির অগ্রগতি উপস্থাপন করেন।
সভায় বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার মধ্যে আন্ত-চুক্তির লক্ষ্য আর্জনে সবাইকে আরো মনোযোগি ও দায়িত্বশীল হবার আহবান জানান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী। ই-নথির কার্যক্রম আরো গতিশীল করতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া ও কাজের অগ্রগতি তদারকিতে বিশেষ মনিটরিং টিম করা হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিসিকের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আ ন ম মনছুফ, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুল হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হানিফুর রহমান, কর কর্মকর্তা মো. রমিজ মিয়া, এসেসর চন্দন দাশ, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আবুল ফজল, শিক্ষা কর্মকর্তা নেহার রঞ্জন পুরকায়স্থ, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, আইটি কনসালটেন্ট মো. সাদাত হোসেন খান, সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান, তানভীর আহমদ, ভূপাল রঞ্জন চন্দ, রুবেল আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি