জরুরী সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ॥ নগরীর যেকোন স্থানে অবৈধ পশুর হাট বসানো হলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হবে

36
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

স্টাফ রিপোর্টার :
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারনে এবার সিলেট মহানগরী এলাকায় ৩টি কোরবানীর অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে আন্দোলনের মুখে ২টি পশুর হাট বাতিল করে শুধু নগরীর দক্ষিণ সুরমা কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন মাঠের হাটটি রাখা হয়েছে। এর পর অবৈধভাবে টিলাগড় পয়েন্টে যে হাটটি বসানো হয়েছিল সেটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর পরেও যদি সিলেট সিটি কপোরেশনের কোন স্থানে অবৈধভাবে কোরবানীর অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হয় তাহলে এসব হাটের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। আর এর জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেটের প্রয়োজন তাই আজ বুধবার সিলেট জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আফিফুল হক চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে নগর ভবনের ৩য় তলার কনফারেন্স হলে আয়োজিত জরুরী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সবিব) বিধায়ক রায় চৌধুরী এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আজিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আরো বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক)-এর মাসিক সভায় নগর চত্বরের নাম ‘জনতার কামরান চত্বর’ হিসাবে নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল মাসিক সভার সিদ্ধান্ত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। এর আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়কের নামকরণের জন্য ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে নগরীর বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়কের নামকরণের প্রস্তাব এসেছে। সর্বক্ষেত্রে সিসিকের স্বচ্ছতার জন্য আমরা কমিটি করে দিয়েছি, সেই কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর পরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করা হবে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়র বলেন, যারা এই সংকটময় সময়ে সিসিকের ফান্ডে খাদ্যদ্রব্য দেয়ার পাশাপাশি নগদ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে সিসিকের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন। সিসিককে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুদান এসেছে ৩১ লাখ ৫৫ হাজার। এছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে সিসিককে দেয়া হয় ১ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৩৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই টাকা থেকে নগরীর ইমাম-মোয়াজ্জিনদেরকে দেয়া হয় ১৪ লাখ, কওমি মাদরাসায় দেয়া হয় ৬ লাখ ২৪ হাজার, সেলুন ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, পুরোহিতদেরকে দেয়া হয় ১ লাখ টাকা আর বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে টাকা বিতরণ করা হয়। তিনি বলেন, সিসিকের নিজস্ব তহবিল থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ৫২ হাজার ২শত টাকার খাদ্যা সামগ্রী ক্রয় করা হয়। এর মধ্যে চাল ২৮০ মেট্রিক টন, আলু ২১ দশমিক ৫০০ মেট্রিক টন, লবণ ৩৭ টন, ডাল ৭১ দশমিক ৮০০ মেট্রিক টন, পেয়াজ ৭০ দশমিক ৩৩০ মেট্রিক টন এবং ৬৯ হাজার ৪৮০ লিটার তৈল বিতরণ করা হয় সিটি করপোরেশন এলাকায়।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আরো বলেন, ঈদের দিন কোরনানী দেয়ার পর পশু জবাইর বর্জ্য যেন সঠিক জায়গা ফেলা হয়। এ সব বর্জ্য যত্রতত্র ফেলে করোনাভাইরাস চড়াতে না পারেন সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানান তিনি।