কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থকার পর ভার্চুয়ালভাবে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সপ্তাহে দুদিন সোম ও বৃহস্পতিবার আপীল বিভাগে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে নিয়মিত ফৌজদারি মামলা করা যাবে।
এদিকে এখন থেকে সুপ্রীমকোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের ফাইলিং শাখা, এভিডেভিড শাথা এবং নকল শাখার নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নারী ও শিশু আদালতের নালিশি শুনানিতে ৬ ফুট দূরত্বে ৬ জনের বেশি নয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যবিধি এবং সার্বিক সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি দরখাস্ত করা যাবে। সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব খবর জানা গেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ভার্চুয়ালভাবে সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। রবিবার সুপ্রীমকোর্ট আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল আলম ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধকল্পে এবং শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ (অধ্যাদেশ নং-১, ২০২০) এবং অত্র কোর্ট কর্তৃক প্রণীত প্রাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালিত হবে মর্মে অনুমোদন দিয়েছেন।
নিম্ন আদালতে নিয়মিত ফৌজদারি মামলা করা যাবে : নিম্ন আদালতে নিয়মিত ফৌজদারি মামলা করা যাবে। করোনার কারণে প্রায় চার মাস বন্ধ ছিল এ কার্যক্রম। শনিবার রাতে প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ আলী আকবর এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছেন। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এখন থেকে নিয়মিত চীফ মেট্রোপলিটন আদালত, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি মামলা দাখিল করা যাবে।