কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বোবার হাওর স্লুইচ গেট হাওর রক্ষা বাঁধে বড় ধরণের ভাঙ্গনের ফলে আশপাশ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ বারিউল করিম খাঁন বোবার হাওর রক্ষা বাঁধ মাটির সড়কে ভয়াবহ ভাঙনের ঘটনাস্থল আজ শনিবার সকালে পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে বোবার হাওর মাটির সড়কের সুইচ গেটের পশ্চিম পাশের কিছু অংশ ভেঙে যায়। গত শুক্রবার রাতে পানির তীব্র স্রোতে ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করে অনন্ত দেড়শ ফুট এলাকা একেবারে ভেঙে গিয়ে তীব্র বেগে পানি বোবার হাওর সহ লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা সহ সদর ইউনিয়নের বড়কান্দি, নিজ চাউরা ও চতুল ইউনিয়নের বিশাল এলাকা জুড়ে বন্যা পানিতে তলিয়ে গেছে। ভাঙনের জায়গায় কয়েকদিন পূর্বে একটি পাথর বোঝাই বলগেট ডুবে যায়, সেটা উদ্ধারও করা সম্ভব হয়নি। এতে করে অনেক মৎস্য খামার, আমন ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে, অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। অনেকে বলেছেন অসৎ উদ্দেশ্যে কতিপয় লোকজন নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি হাসিল করার জন্য বোবার হাওর মাটির সড়ক রাতের আঁধারে কেটে ভাঙনের উৎপত্তি করতে পারে। কারণ সড়কের বিভিন্ন অংশে এবং সুরইঘাট পাকা রাস্তার উপর অবৈধভাবে আমরি খাল দিয়ে বোবার হাওর দিয়ে লোভাছড়া পাথর কোয়ারী থেকে জাহাজ ও বলগেট দিয়ে সেখানে গত ১ মাস ধরে পাথর মজুদ করা হচ্ছে। মাটির সড়কের বড় ধরনের ভাঙন দেখা দেয়ায় এই অসাধু চক্র লাভবান হওয়ার সময় রয়েছে। তারা সেখানে কোয়ারী থেকে জাহাজ, বলগেট, লঞ্চ দিয়ে পাথর মজুদ করে আর্থিক ভাবে লাভবান সহ সেখানে পাথর মজুদ করে প্রতিদিন অসংখ্য ভারি ট্রাকে করে পাথর বিক্রি করে আসছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ভাঙন কবলিত এলাকা দ্রুত মেরামত করে এলাকার মানুষকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য দাবী জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বারিউল করিম খান বলেন, বোবার হাওর মাটির সড়কে বড় ধরনের ভাঙনের খবর পেয়ে তিনি আজ ঘটনাস্থলে যান। ভাঙনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা সহ এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।