শিক্ষার্থীদের অধিকার সুরক্ষার দাবিতে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের স্মারকলিপি পেশ

10
করোনা মহামারির এই দুঃসময়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ ও অধিকার সুরক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে শিক্ষা সচিব বরাবরে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

দেশব্যাপী চলমান করোনা মহামারীর এই দুঃসময়ে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ ও অধিকার সুরক্ষার দাবিতে শিক্ষা সচিব বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় কর্মসুচীর অংশ হিসেবে রবিবার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী ইমদাদুল হকের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। জেলা প্রশাসকের পক্ষে উক্ত স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জারিকারক মোঃ শাহ আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নাদিম, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক হোসাইন আহমদ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, যুগ্ম সম্পাদক আলী আকবর রাজন ও ছাত্রদল নেতা জয়নাল আবেদীন রাহেল প্রমুখ।
শিক্ষা সচিব বরাবরে পেশকৃত স্মারকলিপিতে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবীর পক্ষে সোচ্চার ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। করোনা ভাইরাসের কারণে দুই মাসেরও অধিক সময় ধরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশে^ই চলমান রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনের কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ^ অর্থনীতি আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। এই ক্রান্তিলগ্নে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খরচ চালানো সকল অভিভাবকের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় হয়ে সরকারী-বেসরকারী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেতনাদি মওকুফ করতে পারলে তা হতে পাওে মানবতার জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকারী-বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে টেলিভিশন ও অনলাইনে কিছুটা কার্যক্রম চালু থাকলেও সেটি সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে না। কিন্তু পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধীন দুই হাজারেরও বেশী কলেজ এর বাইরে রয়েছে। এক জরিপে দেখা গেছে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে ক্লাস চালানো সম্ভব নয়। এমনকি বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীও অনলাইনে ক্লাসে যুক্ত হওয়ার সংগতি নেই। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই মুহূর্তে সকল প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে ক্লাস, ভর্তি ও পরীক্ষা বন্ধ রাখার দাবী জানাচ্ছে ছাত্রদল। করোনা পরিস্থিতিতে যেসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী রাজস্ব থেকে বেতন পায় না, এমনকি এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ শিক্ষার্থীদের বেতনের উপর নির্ভরশীল ঐসব প্রতিষ্ঠানের ঘাটতি সরকারী বরাদ্দ থেকে পূরণের আহ্বান জানিয়েছে তারা। অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন চালু রাখার স্বার্থে তাদের পরিবার সমূহকে আর্থিক অনুদান প্রদান করা উচিত। করোনা পরিস্থিতি গতি কিছুটা শিতিল হলে ভয়, শঙ্কা ও উদ্বেগকে পেছনে টেলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং সেশন জট সামাল দিতে একটি পরিকল্পিত সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর দিকে এগিয়ে যাওয়াটা সমীচীন বলে ছাত্রদল মনে করে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরোল্লিখিত দাবী সমূহ মেনে নেয়ার জন্য সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি জোর দাবী জানান তারা। বিজ্ঞপ্তি