কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে মালয়েশিয়ার অর্ধেকের বেশি মানুষ। আর বেকারত্বের জীবন কেমন হবে তা নিয়ে ভেবেই দিন পার করছে বেশিরভাগ মানুষ। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে মালয়েশিয়ার নাগরিকদের এখন একটাই চিন্তার বিষয় তা হলো চাকরির নিরাপত্তা এবং বেকারত্ব।
গ্লোবাল পলস্টার ইপসোসের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায়, মালয়েশিয়ার শতকরা ৫১ ভাগ মানুষ বেকারত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনমাসের হিসেবে দেখা যায় মার্চে শতকরা ৪২ ভাগ মানুষ , এপ্রিলে শতকরা ৪৩ ভাগ মানুষ এবং মে মাসে ৩৯ শতাংশ মানুষ বেকারত্ব নিয়ে চিন্তিত ছিলো। যেখানে করোনা নিয়ে এপ্রিলে মানুষ উদ্বিগ্ন ছিলেন শতকরা ৮৫ ভাগ যা মে মাসে কমে দাঁড়ায় ৭৪ ভাগ। স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষের উদ্বেগ যা মার্চে ছিলো ১৫ শতাংশ, এপ্রিলে ১৬ শতাংশ মে মাসে একবারে কমে দাঁড়ায় ১১ শতাংশ।
করোনার কারণে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অর্থনৈতিক খাতে বড় বিপর্যয় নেমেছে দেশটিতে। রেকর্ড সংখ্যক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বেকারত্বের হার। পরিসংখ্যান বিভাগ তাদের নিজস্ব জরিপে প্রকাশ করেছে যে, করোনার কারণে আত্মনির্ভরশীল কর্মীরা ৫০ শতাংশ কাজের বাইরে রয়েছেন। গবেষণায় দেখা যায় শতকরা ৪৬.৬ ভাগ কাজ থেকে দূরে রয়েছেন।
যে ৪ হাজার ৮৭৭ জন মানুষের উপর গবেষণা চালানো হয়েছে তাদের মধ্যে শতকরা ২৩.৮ শতাংশ তাদের ব্যবসায় হারিয়েছে। এটি ইপসোসের অনুসন্ধানের সাথে মিলে যায় যে গাড়ি বা বাড়ির মতো বড় ক্রয়ের জন্য মালয়েশিয়াবাসীর এখন আর চিন্তা নেই। এমনকি গৃহাস্থলি দ্রব্যাদি কেনার ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়েছে। যেখানে ২০১৮ সালে ৫৫ শতাংশ মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে বোধ করতে এসব দ্রব্যাদি কেনাকাটা করতে সেখানে এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশ।
জরিপটি অনলাইন প্যানেল সিস্টেমের মাধ্যমে বিশ্বের ২৮ টি দেশে মাসিকভাবে পরিচালিত হয় যেখানে মালয়েশিয়ায় মাসিক নমুনা হিসেবে ৫০০ জন উত্তরদাতার তথ্য গ্রহণ করা হয়।