স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর শিবগঞ্জ সেনপাড়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে এক ডাকাত প্রাণ হারিয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিন জন। তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে সেনপাড়াস্থ পুষ্পায়ন ৮৭/১ নম্বর মহসিন চৌধুরীর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাত হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শাহপরাণ থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন।
নিহত ডাকাত ইকবাল (৩০)। সে সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার যুগিরগাঁও গ্রামের শমসের আলীর পুত্র। আহত ডাকাতরা হচ্ছে- দোয়ারাবাজারের বল্লা গ্রামের লুৎফুর রহমানের পুত্র মানিক মিয়া (৩০), ছাতকের বড়কাপন গ্রামের আম্বর আলীর পুত্র আকতার হোসেন তারেক (৩২) ও চাঁদপুর জেলার সায়াতি উপজেলার কুসুমপুরের আবদুর রবের পুত্র সুমন মিয়া (২৭)। সুমন মিয়া বর্তমানে বিশ্বনাথের লামাকাজি মোল্লারগাঁওয়ের বাসিন্দা।
ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে সেনপাড়ার মহসিন চৌধুরীর বাসার সিসি ক্যামেরা ও লাইট কাপড় দিয়ে ঢেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ডাকাতরা। এ সময় বাসার লোকজন ডাকাতির বিষয়টি টের পেয়ে আশপাশ বাসার লোকজনদের জানান। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন ডাকাতদের ঘিরে ফেলেন। তারা ডাকাত দলের চার সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেন। গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ায় ডাকাতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওসি জানান- গণপিটুনির শিকার ডাকাত ইকবাল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাপসাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন যাবৎ সেনপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত ধরতে লোকজন নিজ উদ্যোগে রাত জেগে পাহারা দিতে থাকে। তাই ডাকাতদের উপর লোকজন বিক্ষুব্ধ ছিলেন। ফলে ডাকাতদের পেয়ে তারা গণপিটুনি দিয়েছেন। গত ১১ নভেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকার রিপোর্টে ডাকাত ধরতে প্রশাসন তৎপর হলেও কোন ডাকাত গ্রেফতার বা খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।