কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিদ্যুতের ভুল বিলের দায় নিতে নারাজ বিতরণ কোম্পানি। এখন যেভাবে যাকে যত বিল করে দেয়া হয়েছে তা পরিশোধ করতে হবে। তবে কোন গ্রাহক প্রকৃত বিল দিতে চাইলে তাকেই উদ্যোগ নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করে ঠিক করে আনতে হবে। অভিযোগ উঠেছে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি বিল চাপিয়ে গ্রাহক হয়রানি করলেও বিদ্যুৎ বিভাগ বিতরণ কোম্পানির প্রতি নমনীয়তা দেখাচ্ছে। আর বিল পরিশোধ না করলে লাইন কেটে দেয়ার হুমকি দিয়ে মাইকিং করে বেড়াচ্ছে বিতরণ কোম্পানি। কোন নির্দিষ্ট গ্রাহকের নয় বরং সকল আবাসিক গ্রাহকের বেশি বিল করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি।
করোনার কারণে মালয়েশিয়া সারাদেশের বিদ্যুতৎ গ্রাহকদের নির্দিষ্ট সময়ের বিল মওকুফ করে দিয়েছে। অর্থাৎ গ্রাহককে ওই সময়ের ব্যবহৃত বিদ্যুতের আর কোন বিল দিতে হবে না। কিন্তু দেশে এর উল্টো চিত্র। বিল মওকুফতো দূরের কথা ব্যবহৃত বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে কোম্পানিগুলো। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিভাগের কোন নির্দেশনাও নেই।
সরকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদ্যুত গ্রাহকদের ব্যাংকে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বিলের বিলম্ব মাসুল তুলে দেয়। জুন মাসে গিয়ে তিন মাসের বিল একসঙ্গে দিলেই চলবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু মে মাসে এসেই বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্রাহকের ব্যবহৃত বিদ্যুতের চেয়ে বেশি বিল করে। যা ছিল চোখে পড়ার মতো। দ্বিগুণ তিনগুণ পর্যন্ত বিল বেশি করা হয়েছে। গ্রাহক এসব বিল নিয়ে বিতরণ কোম্পানির অফিসে দৌড়াঝাঁপ শুরু করার পর বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পরবর্তী মাসের বিলের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়ে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর এতেই নিজেদের দায় শেষ বলে মনে করছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
ভুল বিলের সুরাহায় বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ বলেন, এটি করোনা পরবর্তী সময়ে সুরাহা করা হবে। এরপরও যদি কারও বেশি বিল নিয়ে সমস্যা হয় তিনি বিতরণ কোম্পানির অফিসে আসলেই ঠিক করে দেয়া হবে। তাহলে কি আপাতত গ্রাহককে যে বিল দেয়া হয়েছে তা পরিশোধ করতে হবে? এমন প্রশ্নে বলেন, এটাতো পরে সমন্বয় করা হবে। বিদ্যুত বিল করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাপ বা স্ল্যাব অনুসরণ করা হয়। চাইলেই এক মাসের বিল অন্যমাসে গিয়ে সমন্বয় করা সম্ভব নয় তাহলে কিভাবে এটি করা হবে জানতে চাইলে বলেন, আমরা এটা করতে পারব।