কাজিরবাজার ডেস্ক :
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুধু কলকাতাতেই মারা গেছেন ১৫ জন। এর বাইরে সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন কলকাতা লাগোয়া দুই ২৪ পরগনায়।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বনগাঁয় ৩, সুন্দরবনে ৮, বসিরহাটে ১০ জন মারা গেছেন। মৃতদের বেশিরভাগ গাছ পড়ে বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মমতা।
বৃহস্পতিবারও আম্পানের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে। এর মধ্যেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতদের পরিবার বর্গের জন্যে ক্ষতিপূরণ ঘোষণার পাশাপাশি ৩/৪ দিনের মধ্যে তিনি দুর্গত এলাকায় যাবেন বলে জানিয়েছেন।
জীবনে একটা বড় ট্র্যাজেডি দেখলেন মন্তব্য করে মমতা বলেছেন, ৫ লাখ মানুষকে আগে থাকতে সরিয়েও এতগুলো মানুষের মৃত্যু আটকানো গেল না। এর জন্যে কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ১ লাখ কোটি টাকা। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পশ্চিমবাংলাকে সবকিছু পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ধ্বংসলীলা এবং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে মমতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন জানিয়ে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলছেন কেন্দ্রীয় আমলারাও। আম্পান নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব।
এর আগে, পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে যে বিপুল ধ্বংসের ছবি ধরা পড়েছে তা দেখেছেন এবং এর মোকাবিলায় পুরো দেশ পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, রাজ্যের মানুষের মঙ্গল কামনার পাশাপাশি সমস্ত কিছু দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। এনডিআরএফের দল ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে কাজ করছে।
মোদি জানিয়েছেন, পরিস্থিতিকে সামনে থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে কোনও আপস করা হবে না।