বাংলাদেশে আটকা পড়া স্পেন প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনতে দূতাবাসের প্রক্রিয়া চালু

13

স্পেন থেকে সংবাদদাতা :
করোনাভাইরাস জনিত সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশে গিয়ে আটকা পড়া স্পেন প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে অবস্থানরত স্পেন প্রবাসীদের স্পেনে প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরার পর বাংলাদেশ দূতাবাস এ উদ্যোগ নিয়েছে।
স্পেনে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশি, যারা দুই দেশে জরুরী রাষ্ট্রীয় সতর্কতা ঘোষণার পূর্বে বাংলাদেশে সফর করেছিলেন এবং বর্তমানে চলমান লকডাউনে বাংলাদেশ থেকে স্পেনে ফেরত আসতে পারছেন না, তাদেরকে একটি বিশেষ চার্টার বিমানে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে আটকা পড়া স্পেন প্রবাসীদের অনুরোধে গত ১৫ মে ‘স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব’ আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল আলোচনায় স্পেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিষ্টার ও মিশন উপ প্রধান এম হারুন আল রাশিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, দূতাবাস বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পরবর্তীতে ১৭ মে স্পেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্পেনে প্রত্যাবর্তনের প্রক্রিয়া বিষয়ক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্পেনে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদেরকে চার্টার ফ্লাইটের খরচ বহন করতে হবে। এক্ষেত্রে একজন অথবা সর্বোচ্চ দুইজন প্রতিনিধি কিংবা ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করতে হবে।
সেই ফোকাল পয়েন্টের কন্টাক্ট (মোবাইল নাম্বার, পাসপোর্ট নাম্বার, স্প্যানিশ রেসিডেন্ট কার্ড নাম্বার) দূতাবাসের ই-মেইলে (bdembm01@gmail.com) পাঠাতে হবে। দূতাবাস ফোকাল পয়েন্টের সাথে যোগাযোগ করবে। পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে ফোকাল পয়েন্ট অথবা প্রতিনিধিকে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মিনিষ্টার ও মিশন উপ প্রধান হারুন আল রাশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, দূতাবাস কিংবা মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র বিভিন্ন অনুমোদনের দায়িত্ব নিবে। চার্টার এর মূল্য প্রতিনিধির মাধ্যমে অথবা প্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের সাথে আলোচনা করে ঠিক করবেন কি প্রক্রিয়ায় বিমান ভাড়া পরিশোধ করা হবে। দেশে অবস্থানরত সকল স্পেন প্রবাসীদের প্রতিনিধি নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বলা হয়েছে। প্রতিনিধি কর্তৃক কেউ প্রতারিত হলে তার দায়িত্ব দূতাবাস কিংবা মন্ত্রণালয় নিবে না বলে ও সতর্ক করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
লকডাউন চলাকালীন বাংলাদেশ থেকে আসা চার্টার বিমানকে মাদ্রিদে অবতরণ করতে দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে দূতাবাস কাজ করছে। স্পেন সরকার কর্তৃক যদি অনুমোদন দেয়া হয় তখন এটা কার্যকর হবে। নতুবা চার্টার বিমানে স্পেন আসার কোন সুযোগ থাকনে না। তবে যেহেতু এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, তাই অগ্রিম এ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দূতালয়ের মিনিষ্টার ও মিশন উপ-প্রধান হারুন আল রশিদ ।
প্রসঙ্গত, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপে বাংলাদেশও লকডাউনের আওতায় থাকায় বাংলাদেশে অবস্থানরত স্পেন প্রবাসীরা স্পেনে প্রত্যাবর্তন করতে পারছেন না। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে স্পেনে আসার বিমান চলাচলও শুরু হয়নি। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে অবস্থানরত স্পেন প্রবাসীরা এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না তাদের। কিন্তু স্পেন দূতাবাসের নেয়া এমন সিদ্ধান্ত তাদের স্বস্তি দিয়েছে।