ওসমানীনগরে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও বিল নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন অন্য কর্মচারীরা !

17

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে খাশিকাপন পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের এক লাইন টেকনিশিয়ান করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অফিসের কর্মচারীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। শুক্রবার রাতে ই-মেইলের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে রিপোর্ট জানানো হয় খাশিকাপন জোনাল অফিসের লাইন টেকনিশিয়ানের করোনা পজেটিভ। শনিবার দুপুরে উপজেলার তাজপুর বাজারে ওই লাইন টেকনিশিয়ান যে ভবনে ভাড়া থাকতেন তা লকডাউন করা হয়েছে।
এদিকে, শনিবার সকালেই বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন খাশিকাপন জোনাল অফিসের কর্মচরীরা। এমন অবস্থায় গ্রামে গ্রামে বিলের কপি দিতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে খাশিকাপন পল্লী বিদুতের কর্মচারীদেরও। একদিকে পল্লী বিদুতের কর্মচারী করোনা আক্রান্তের খবর অন্যদিকে, করোনা মোকবেলায় সবাইকে ঘরে থাকার কথা থাকলেও বিল নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা বাড়ি বাড়ি যাওয়ায় অনেকই করোনা আতংকে রয়েছেন। করোনার দূর্যোগকালীন সময়ে বিদ্যুৎ বিল পরিষোদ করার তাগিদও দেওয়া হচ্ছে। বিল পরিষোদ না কররে লাইন বিচ্ছিন্ন করার কথাও জানানো হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। করোনার এই মহামারির সময় খাশিকাপ পল্লীবিদ্যুতের এমন কর্মকান্ড গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, গত দুই মাসের মধ্যে কোন মিটার রিডার কোন রিডং লিখে নেননি। অথচ তারা ভূতুরে বিল বানিয়ে বাড়ি বাড়ি করোনার মধ্যে আসছেন কোনো ধরণের সচেতনতা ছাড়া। নিরাপদ দূরত্ব বাজয় রাখার কথা জানালেও তারা কোন নিরাপদ দূরত্ব বজায় না রেখেই মাস্ক না পড়েই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন যেটা মারাত্ব ঝুঁকি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিটার রিডার বলেন, আমাদের কিছু করার নাই। আমাদের অফিস থেকে চাপ আছে তাই বিল নিয়ে বাড়ি বাড়ি যেতে হয়। করোনা ঝুঁকি নিয়েও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ বিল পৌছাতে হচ্ছে।
উপজেলার গোয়ালাবাজর এলাকার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক শুভ দেব নয়ন বলেন, খাশিকাপন পল্লী বিদ্যুতের একজন কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানতে পেরেছি। তার মধ্যে অন্যকর্মচারীরা বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎবিল নিয়ে আসায় এবং এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি আসা যাওয়া ভালো বিষয় নয়। আমরা বাড়ি থেকে বের হই না। তারা যদি সবার বাড়ি বাড়ি আসা যাওয়া করে তাহলে আমাদের ঘরে থেকে কি লাভ।
বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর খাশিকাপন জোনল অফিসের ডি জি এম (ডেপুটি জেনারেল ম্যানেরজার) ফয়েজ উল্লা বলেন, পল্লীবিদুতের করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি আইসোলেশনে আছেন প্রশাসনিক ভাবে রুগীর খুঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বিদুৎ বিল পরিষদের কোন তাগিদ দেওয়া হচ্ছে না শুধু আমরা বাড়ি বাড়ি বিলের কপি পৌছে দিচ্ছি।