বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
ব্রীজ নয় যেন মরণ ফাঁদ। ব্রীজে ঢালাই নেই, আছে রড। ব্রীজটির অবস্থান তাহিরপুরের বাদাঘাট-উত্তর বড়দল এলজিইডি সড়কে গুটিলা গ্রামের দক্ষিণ পাশে। বছর খানেক ধরে ব্রীজটির এ অবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে অপরিচিত লোকজন যখন এ পথে গাড়ি নিয়ে সজোড়ে পারি দেন পথ তখনই ঘটে বিপত্তি।
তাহিরপুর উপজেলা সদর ঠাকুরহাটি গ্রামের সিএনজি চালক সেরোয়ান মিয়া বলেন, তিনি চলতি বছর ফাল্গুন মাসে শিমুল বাগান গিয়েছিলেন যাত্রী নিয়ে, দ্রুত গাড়ি চালিয়ে তিনি যখন ব্রীজের কাছাকাছি যান তখন হঠাৎ দেখতে পান ব্রীজের এ অবস্থা। তখন তিনি কোন রকম গাড়ির নিয়ন্ত্রণ করেন বলেও জানান।
এ অবস্থার কথা জানান আরো একাধিক মোটর বাইক ও সিএনজি চালক। তারা জানান, হঠাৎ করে এ পথ পারি দেয়া লোকজনরে ক্ষেত্রে ব্রীজটি অত্যন্ত রিস্ক। অজানা অবস্থায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে গেলে ব্রীজের ভাঙ্গায় পরে মৃত্যুর মত দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে বলে তারা জানান।
সরেজমিন উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন থেকে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এলজিইডি সড়কে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র। ব্রীজটির মধ্যে অনেকটা স্থান ভেঙ্গে গেছে। ভেঙ্গে যাওয়া স্থানে ঢালাই নেই। আছে ক’টুকরো রড। রডের ফাাঁকে আটকে যেতে পারে গাড়ির চাকা।
স্থানীয়রা জানান, বছর খানেক ধরে ব্রীজটির এ অবস্থা। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। এ সড়কে উপজেলা সদর থেকে বারেক টিলা,যাদুকাটা নদী, ট্যাকেরঘাট সহ তিনটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক জনগোষ্ঠির যাতায়াত। তাছাড়া সড়কটি দিয়ে রিক্স্রা, ভ্যান, টেলা, সিএনজি, বাইক, পিকআপ সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। আর এ সড়কের ব্রীজ পারাপার হতে দিয়ে যাতায়াত করতে গিযে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন গুটিলা গ্রামের ব্যাবসায়ী জাকির হোসেন বলেন, এ সড়কের ব্রীজ (কালভার্ট)টি অনেকদিন ধরে ভাঙ্গা । এখনই মেরামত না করলে যে কোন দিন ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা।
উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, আমি প্রতিদিন এ পথ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়াত করি। ব্রীজটি এখন সড়কের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আমি উপজেলা প্রকৌশল অফিসকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
তাহিরপুর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন,ব্রীজটি(কালভার্ট) টি দেখেছি। ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। দ্রুত ব্রীজটি সংস্কার করার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।