কাজির বাজার ডেস্ক
কোরবানির পশুবাহী গাড়ি হাইওয়েতে থামানো যাবে না বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শাহাবুদ্দিন খান।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে ‘ঈদুল আজহা ২০২৩ উপলক্ষ্যে মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত’ রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, পশুবাহী গাড়ির সামনে ও পেছনে গন্তব্য লেখা থাকবে। হাইওয়েতে কোরবানির পশুবাহী গাড়ি থামানো যাবে না। কেউ বাধা দিলে কোনোভাবে বরদাশত করা হবে না। সভায় এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, সড়কে পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি করা হয়। এই অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, কোনো গরুর হাটের ভলান্টিয়ার জোরপূর্বক বা বাধা দিয়ে গাড়ি হাটে ঢোকাতে পারবে না। এজন্য পশুবাহী প্রত্যেক গাড়িকে সামনে ও পেছনে গন্তব্য লিখে রাখতে হবে। তাহলে কোনো ধরনের চাঁদাবাজির সুযোগ থাকবে না। যারা যাত্রী আছেন, পরিবহন সংশ্লিষ্ট আছেন, চাঁদাবাজি হবে না এটা নিশ্চিত থাকুন। পশুবাহী ট্রাকে মাদক পরিবহন করা হয় এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট নজরদারি থাকবে। মাদক কারবারিরা যাতে কোনো ধরনের সুযোগ না পায় সেজন্য আমাদের নজরদারি ও তদারকি থাকবে। বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে, হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে বলছি- চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই, থাকবে না। যারা মহাসড়ক ব্যবহার করবেন, তারা একটি নিরাপদ পরিবেশ পাবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবং আমরা এটি বাস্তবায়ন করব। সেই সঙ্গে আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
এবারই প্রথমবার করা সমন্বয় সভার কার্যকারিতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা খুবই কার্যকরী হবে। আমরা আমাদের কাজটি তখনই সুন্দরভাবে করতে পারি, যখন আমাদের যারা অংশীজন বা স্টেকহোল্ডার, সহযোগী সংস্থা, জনসাধারণ রয়েছেন তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারি। সমন্বিত আলোচনার মাধ্যমে প্রত্যেকটি জায়গা ধরে খুঁটিনাটি সমস্যা চিহ্নিত করে আলোচনা করছি। সেই সঙ্গে কার কোন দায়িত্ব এবং চ্যালেঞ্জগুলো কী তা চিহ্নিত করছি। আমি আশা করি, এই সমন্বয় সভাটি আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমনে এবং সুন্দর নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে।
মহাসড়ক অবরোধ করে হাটের লোকজন বল প্রয়োগ করে গরুর গাড়ি ঢুকিয়ে যানজট সৃষ্টি করে, এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ইন্টেলিজেন্সের তথ্যমতে আমরা এই সমস্যার বিষয়টি জানতে পেরেছি। তাই আমরা জেলা পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং অন্যান্য যারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য রয়েছেন, যারা অংশীজন রয়েছেন, আমাদের এটা নিশ্চিত করবেন, যাতে কোনো হাটে কোনো সদস্য, সে ভলান্টিয়ার হোক বা অন্য কোনো লোকই হোক, কোনো গরুর গাড়ি জোরপূর্বক বাধা দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমরা সবাই মিলে (জনগণ, স্টেকহোল্ডার) ক্রমান্বয়ে প্রতি বছরই ঈদযাত্রা, মানুষের স্বস্তি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। এবারও আমরা ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কিছু গাড়ি সড়কে চলার সময় বিকল হয়, অল্প মেরামত করে সেগুলো চালু করা যায়। কিন্তু দেখা যায় যানজটের মধ্যে সেখানে দ্রæত পৌঁছানো যায় না। সে কারণে সারা বাংলাদেশে হাইওয়ে সংলগ্ন যত গ্যারেজ আছে, যারা এসব যানবাহন মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান বা মেরামতকারী আছেন, তাদের একটি তালিকা আমরা তৈরি করেছি। সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করছি, প্রত্যেকটি কন্ট্রোল, সাব কন্ট্রোলে দেওয়া আছে।