হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স আক্রান্ত হওয়ার পরপরই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে হাসপাতালটি। রবিবার রাত সাড়ে ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের একজন চিকিৎসক, দুই জন নার্স, দুই জন চালক, প্যাথোলজি বিভাগের দুই জন, দুই জন স্বাস্থ্য সহকর্মী এবং দুই জন আয়া ও ঝাড়ুদার, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা হাকিম ও দুই জন নির্বাহী হাকিমসহ ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। এরপর রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব থেকে এ জেলায় আরও দু’জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়।
জেলা সিভিল সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১১ এপ্রিল হবিগঞ্জে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২২৩ টি। এর মধ্যে ৭৭৪টির রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও হাকিমসহ ৪৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১২টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে সব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। এর আগে দুই নার্স ও এক চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ায় গত ২১ এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করা হয় লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।