কাজিরবাজার ডেস্ক :
শুরু হলো পবিত্র মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার মাস। শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশের আকাশে রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ শনিবার থেকেই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা শুরু করেছেন। এর আগে শুক্রবার রাতে তারাবির নামাজ পড়া এবং শেষ রাতে সেহরি খাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মাহে রমজানের আনুষ্ঠানিকতা। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি জানিয়েছে, শুক্রবার রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ শনিবার থেকে রমজান শুরু হয়েছে। আগামী ২৬ রমজান (২০ মে বুধবার রাতে) সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর উদযাপিত হবে।
এর আগে শুক্রবার বাদ মাগরিব জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বৈঠকে বসে। কমিটির পক্ষ থেকে দেশের আকাশে রমজানের চাঁদ দেখা যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পরই রাতেই বাসায় তারাবির নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
শেষ রাতে সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে সিয়াম সাধনাও শুরু করেন। এই সিয়াম সাধনা চলবে মাসব্যাপী। তবে এবার করোনার কারণে মুসল্লিদের তারাবির নামাজ ঘরেই আদায় করতে হচ্ছে। আগেই মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়ের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে ১২ জনের বেশি কাউকে নামাজে শরিক হতে নিষেধ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, মাহে রমজানে এশার জামাতে ইমাম, মোয়াজ্জিন, খতিব, খাদিম এবং দুইজন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশ নিতে পারবেন। তারাই মসজিদে তারাবির নামাজে অংশ নেবেন। শুক্রবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, অন্য মুসল্লিরা নিজ নিজ ঘরে এশা ও তারাবির নামাজ আদায় করবেন। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহ রহমত কামনা ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করার স্বার্থে রমজান উপলক্ষে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইফতার মাহফিলের আয়োজন বা যোগদান করতে পারবেন না।
এদিকে রমজানে কোনভাবেই যেন ফুটপাথে ইফতার তৈরি ও বিক্রি না হয় সে বিষয়ে তৎপর থাকতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। এ সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে নির্দেশনাসহ কোন ব্যক্তি বা সংগঠন অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অথবা ইফতার বিতরণের নামে জনসমাগম যাতে না করে ফেলে সেনিশ্চত করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ কারণে এবার ফুটপাথেও থাকছে না কোন ইফতার সামগ্রীর পসরা। উৎসববিহীন এক ব্যতিক্রমী রমজানের মুখোমুখি হলো দেশের রোজাদাররা।