কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে ২ হাজার ২৭৪টি। এর মধ্যে ২ হাজার ৯৩টির মালিক তাদের ২৩ লাখ ৬০ শ্রমিকের মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছেন। এখনও ১৮১ কারখানার শ্রমিক বেতন-ভাতা পাননি।
রবিবার (১৯ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে, পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। তবে সংগঠনটির সদস্য নয় এমন কতগুলো কারখানার শ্রমিক বেতন পাননি, তার কোনও হিসাব নেই বিজিএমএইএ’র কাছে।
বিজিএমইএ’র দাবি, এ পর্যন্ত ২৩ লাখ ৬০ হাজার শ্রমিক মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন, যা বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানার মোট শ্রমিকের ৯৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। বিজিএমইএ জানায়, সংগঠনটির মোট সদস্যের মধ্যে ৯২ শতাংশ কারখানা মার্চ মাসের বেতন দিয়েছে। বেতনভাতা দেয়নি এখনও ৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ কারখানা।
সংগঠনটির সদস্য ২ হাজার ২৭৪ কারখানার মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় রয়েছে ৩৬০টি। এর মধ্যে মার্চের বেতন দিয়েছে ৩২৫টি প্রতিষ্ঠান। গাজীপুরের ৮০৮টি কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ৭৪৬টি, সাভার ও আশুলিয়ায় ৪৭১টির মধ্যে বেতন দিয়েছে ৪৪০টি, নারায়ণগঞ্জের ২৬৯টি পোশাক কারখানার মধ্যে বেতন দিয়েছে ২৬০টি, চট্টগ্রামের ৩২৪টি কারখানার মধ্যে ২৮৩টি এবং প্রত্যন্ত এলাকার ৪২টি কারখানার মধ্যে ৩৯টির মালিক মোট ২৩ লাখ ৬০ হাজার শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করেছেন।
বিজিএমইএ বলছে, রবিবার (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত ১৮১টি কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেননি মালিকরা।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘বেশিরভাগ বড় বড় প্রতিষ্ঠান মার্চের বেতন পরিশোধ করেছে। যারা বেতন দেননি, তাদের অধিকাংশ ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আর্থিক সমস্যা, ব্যাংকিং জটিলতা ও চলমান পরিস্থিতিতে যাতায়াতের কারণে বেতন পরিশোধ করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’ তবে আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে শতভাগ শ্রমিক মার্চের বেতন পাবেন বলেন তিনি আশ্বাস দেন।
এদিকে বেতন-ভাতার দাবিতে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের মজুরি না দেওয়া গার্মেন্টস মালিকদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নামক একটি সংগঠন। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।