জরুরী ব্যবস্থা না নিলে জাপানে ৪ লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা

19

কাজিরবাজার ডেস্ক :
জরুরি ব্যবস্থা না নিলে জাপানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪ লাখ মানুষের প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক অপ্রকাশিত পূর্বাভাসকে উদ্ধৃত করে সংবাদমধ্যমগুলো এ আশঙ্কার খবর দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (১৫ এপ্রিল) নাগরিকদের বাড়িতে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছে জাপান সরকার। আরও বেশি করে নগদ অর্থ দিতে চাপের মুখে আছেন প্রেসিডেন্ট শিনজো আবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জাপানে গত কয়েক সপ্তাহে জাপানে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। বিশেষ করে টোকিওতে। ওসাকা ও টোকিওসহ ৬ এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকা মানুষদেরই শুধু করোনা পরীক্ষা করে থাকে জাপান। এখন পর্যন্ত সেদেশে ৯০০০ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ২০০ মানুষ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অপ্রকাশিত আভাসকে উদ্ধৃত করে সেদেশের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে জাপানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হতে পারে সাড়ে ৮ লাখ মানুষের। এমন আভাসের পর জনগণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার ও ব্যবসায়িক কাজকর্ম বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে জাপান সরকার। মানুষের মধ্যে মিথষ্ক্রিয়া ৭০ ভাগ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। তবে এসব নিয়ম মানতে বাধ্য করার জন্য কোনও জরিমানা চালু করা হয়নি। সরকারের মুখপাত্র ও মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিদে সুগা জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন সরকারকে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে দিতে যার যার সাধ্যমতো চেষ্টা করে।
জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এরইমধ্যে ১ ট্রিলিয়ন ডলার সমমানের অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে মহামারি পরিস্থিতিতে যে পরিবারগুলোর উপার্জন একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে তাদেরকে ৩ লাখ ইয়েন করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে প্রত্যেক জাপানি নাগরিককেই ১ লাখ ইয়েন করে প্রদান করার জন্য সরকারের কাছে দাবি উঠেছে। ক্ষমতাসীন জোটভুক্ত দল কোমেইতো পার্টির প্রধান নাতসু ইয়ামাগুচি বলেন, ‘এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আমি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছি। তিনি এটা করতে পারলে তা হবে জনগণের প্রতি সংহতির এক দৃঢ় বার্তা।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিদে সুগা জানিয়েছেন, সরকার পরবর্তী ব্যবস্থা নিয়ে ভাববে, তবে আপাতত ‘সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে কাজ চলছে।’ রয়টার্স-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানে জারি থাকা জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা তা নিয়ে এ সপ্তাহের শেষের দিকে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।