দোয়ায়াবাজারে চিলাই নদীর বেড়িবাঁধে আবারও ভাঙ্গন

9

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে গত তিনদিনের ভারি বর্ষণ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতিবৃষ্টি ও ঢলের পানিতে অধিকাংশ পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। রোপণকৃত আউশ-ইরি ফসল, আমনের বীজতলা ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গবাদিপশুর খাদ্য সংকটের আশংকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে পানির নিচে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত। উপজেলা সদরে সুরমার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে।
চিলাই, মৌলা, মরা চেলা, চলতি, কালিউরি, খাসিয়ামারা, ধূমখালী ও ছাগলচোরাসহ উপজেলার সকল নদী-নালার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার সুরমা, বোগলাবাজার, লক্ষীপুর, নরসিংপুর, দোয়ারাবাজার সদর ছাড়াও বাকি চার ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।
বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পাহাড়ী ঢলে বোগলাবাজার ইউনিয়নের ইদুকোনা, ক্যাম্পেরঘাট, বোগলাবাজার, কৈয়াজুরি, পেশকারগাও, ধর্মপুর সহ অনন্ত ১৫টি গ্রামের বাড়ি ঘর ও বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ইদুকোনা দক্ষিন জামে মসজিদে পানি ঢুকে মসজিদ চলমান নির্মাণাধীন কাজের ৪৮ বস্তা সিমেন্ট পানিতে ভিজে গেছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে আলমখালী, ইদুকোনা ক্যাম্পেরঘাটের হাজারও মানুষ। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে আউশ ধান। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে আগামী আমন ফসল।” (খবর সংবাদদাতার)