নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ উপজেলায় আম গাছে মুকুল থেকে ‘গুটি’ আসতে শুরু করেছে।ক’দিন আগেও নবীগঞ্জে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা ছিল প্রকৃতি। মৌমাছির গুনগুন শব্দ যেন নিমন্ত্রণ দিচ্ছিল আমের মৌসুমের। এক মাসের ব্যবধানে সেসব গাছজুড়ে শোভা পাচ্ছে সবুজ আমের কাঁচা কাঁচা কড়ালি বা গুটি।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানুষের সাথে কথা বললে তারা বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এই বছর আমের গুটি বেশি দেখা যাচ্ছে।আমের মধ্যে পোকা যাতে আক্রমণ না করতে পারে তার জন্য কৃষি কর্মকর্তার পরার্মশ অনুযায়ী যত্ন নিতে হবে। এবার মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় আমের জন্য ভালো হয়েছে।এই বৃষ্টি আমের ফলনের জন্য উপকারী। গাছের গোড়ায় টানা পানি ঢেলেও যে লাভ না হতো, তার চেয়েও বেশি লাভ হয়েছে মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিতে আমের গাছের পাতা থেকে ধূলা-ময়লা ধুয়ে গেছে। এতে পাতার মাধ্যমে মুকুলগুলো বেশি পরিমাণে সূর্যালোক থেকে খাদ্যগ্রহণ করছে। এতে গুটির ঝরেপড়া যেমন রোধ হবে, তেমনি আকারও বড় হবে।
তাছাড়া বৃষ্টির পর দিন পর্যাপ্ত রোদ হওয়ায় মুকুলে কীটপতঙ্গ মারা যাবে। নবীগঞ্জ উপজেলায় আমের বাণিজ্যিক চাষ না হলে ও গ্রামে প্রতি বাড়িতে বাড়িতে আমের গাছ আছে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমের গুটি বেশি দেখা যাচ্ছে। বাড়িতে আম চাষ করার ফলে কেমিকেলমুক্ত আম উৎপাদন করে নিজের চাহিদা মিটিয়ে ও বাজারে বিক্রি করে সংসারের আয় উন্নতি করা যাবে। নবীগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অলক কুমার বলেন, আবহাওয়ার জন্য সাধারণত আমের গুটি বেশি দেখা যায়। আমের মধ্যে পোকা যাতে আক্রমণ না করতে পারে তার জন্য একটা কীটনাশক ছত্রাকনাশক ওষুধ গুটিতে স্প্রে করতে হবে।