কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনয়িনের দেওছড়া চা বাগানের শ্রমিক সন্তান বিশ্বজিৎ রবিদাস (২৪) সিলেটের একটি বাসায় গৃহকর্মী ছিল। কয়েকদিন ধরে তার সর্দি জ্বর ও কাশি হলে বাসার মালিক তাকে বাড়িতে দেওছড়া চা বাগানে পাঠিয়ে দেয়। বিশ্বজিৎ রবিদাস বাড়িতে আসার পর দেওছড়া চা বাগানে সাধারণ চা শ্রমিকদের মাঝে গত রবিবার রাত থেকে করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি মেডিক্যাল টিম দেওছড়া চা বাগানে এসে বিশ্বজিৎসহ তার পরিবার সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়ে যায়।
শমসেরনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য চা শ্রমিক নেতা সীতারাম বীন বলেন, বিশ্বজিৎ রবিদাস দেওছড়া চা বাগানের চা শ্রমিক রাধে শ্যাম রবিদাসের ছেলে। সে সিলেট শহরের একটি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। কয়েক দিন ধরে তার সর্দি-জ্বর ও কাশি হলে বাসার মালিক তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এ খবরটি শুনে সাধারণ চা শ্রমিকদের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছিল। অবশেষে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে বিশ্বজিৎসহ তার পরিবার সদস্যদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম, মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সন্দেহজনক বলে ও সে যেহেতু অন্য শহর থেকে এসেছে এখন প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে তাকে পরিবারসদস্যসহ ১৪ দিনের জন্য নিজ ঘরে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলার স্বাস্থ্যকর্মীরা এ পরিবারের দিকে নজরদারিও করবে।