সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২৮ ফেব্র“য়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শাল্লায় সে নির্দেশনা মানা হয়নি। উপজেলায় ১৩৭টি বাঁধের মধ্যে ঘিলটিয়া পিআইসি নং- ৩৩-৩৪ বাঁধটির কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শন করে এসব তথ্য জানা যায়।
কৃষকদের অভিযোগ সাংবাদিকদের আত্মীয় স্বজনের নামে কাজ দেওয়ায় এবং পাউবো উপজেলা মনিটরিং কমিটির সদস্যরা এক্সেভেটর দিয়ে মাটির কাজ করায় কাজ সঠিক সময়ে শেষ হয়নি এবং কাজের গুনগত মান ভালো হয়নি।
৫৩ নং পিআইসির মাটির কাজ শেষ হলেও অন্যান্য কাজ বাকী রয়েছে। অনেকে জানান, বাঁধটি হাওরের জন্য প্রয়োজনীয় না হলেও লোকজনের চলাচলের জন্য উপকারে আসবে। ৯০ নং পিআইসি কাজের চেয়ে বেশী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, এর পরও বাঁধের কাজ শেষ করেনি পিআইসি, ৮৯, ৮৮, ৮৭, ৮৬ ও ৮৫ নং পিআইসির ও একই অবস্থা।
বাঁধ পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, যুগ্ম সম্পাদক সালেহিন চৌধুরী শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শহীদনুর আহমেদ, শাল্লা উপজেলা সভাপতি তরুন কান্তি, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার প্রমুখ।
পিআইসির সদস্যরা জানান যে পরিমাণ কাজ হয়েছে তারা এখনও সে পরিমাণ টাকা পাননি। ফলে কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে।
প্রতিনিধিদল বাঁধ পরিদর্শন শেষে শাল্লা উপজেলায় কর্মরত মিডিয়া কর্মীদের সাথে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলাদা আলাদাভাবে মতবিনিময় করেন।
শাল্লা উপজেলা এসও আব্দুল কাইয়ূম জানান আমি জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে এ উপজেলায় যোগদান করি, চেষ্টা করছি কাজ শেষ করার।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান একটি বাঁধের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে, বাকী কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে।