কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কর্মীদের বিশেষ সতর্কতার অংশ হিসেবে বাসা থেকে অফিস করার পরামর্শ দিয়েছে দেশের টেলিকমিউনিকেশন অপারেটরগুলো। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে গত ৮ থেকে ১৬ মার্চ (সোমবার) পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আটজন সংক্রমণ হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন মুহাম্মদ হাসান এক বার্তায় জানান, নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এমপ্লয়ী এবং ব্যবসায়িক পার্টনারদের নিরাপদ রাখতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন বিবেচনায় নিয়ে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছি।
তিনি জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের এমপ্লয়ীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে একটি পরিকল্পনা করেছি যেখানে আমাদের ৭ কোটি ৬৫ লাখ গ্রাহকের চলমান সেবা নিশ্চিত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে। ‘আমরা মনে করি, এমন একটি সময়ে গ্রাহকদের পাশে থাকা আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। আমাদের এমপ্লয়ী যারা সরাসরি গ্রাহক সেবার সঙ্গে জড়িত নন তাদের বাসা থেকে অফিস করার জন্য উৎসাহিত করছি।’
তিনি আরো জানান, একই সঙ্গে যারা সরাসরি গ্রাহক সেবা দেবেন তাদের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করছি। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি যেনো সরাসরি যোগাযোগ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা যায়। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী নিদের্শনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
সারা দেশে রবির কর্মী রয়েছে প্রায় এক হাজার ৩০০ জন। রবির পক্ষ থেকে এক বার্তায় বলা হয়, বাসা থেকে রবির কর্মীরা আগে থেকেই করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাদের কর্মীদের আরও সচেতন করা হয়েছে। আর নিরবিচ্ছিন্ন নেটওয়ার্ক রাখতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেছেন, নেটওয়ার্কের অপারেশন, গ্রাহক সেবা, এলআইসির সহায়তা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলো বাদ দিয়ে ২০ মার্চ থেকে বেশিরভাগ কর্মচারীর জন্য দুই সপ্তাহের জন্য বাড়ি থেকে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে বাংলালিংকের প্রায় এক হাজার ১০০ কর্মী রয়েছে।