কাজিরবাজার ডেস্ক :
দিন গণনা শেষ হলো। রাত পোহালেই জাতির পিতার জন্মদিন। কৃতজ্ঞ জাতি ১৭ মার্চ মঙ্গলবার থেকে মুজিবর্ষ উদ্যাপন শুরু করবে। চলবে পরের বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত।
করোনাভাইরাসের হুমকি থাকায় পূর্বের পরিকল্পনায় কিছু রদবদল হয়েছে। তবে উদ্যাপনে বিশেষ ভাটা পড়বে না। সেভাবেই নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি। উদ্বোধনী দিন গণজমায়েত এড়িয়ে নানা উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ঢাকায় ঢাকার বাইরে এমনি বিদেশে প্রিয় পিতার জন্মদিন উদ্যাপন করা হবে।
এরই মাঝে মুজিববর্ষে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ টি-শার্ট। সদ্য প্রস্তুত করা ৯০ হাজার টি-শার্ট আয়োজকদের উপহার দিয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন-বিজিএমইএ। রবিবার সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীর হাতে এসব টি-শার্ট তুলে দেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। এ সময় তিনি বলেন, টি-শার্ট ও পলো টি-শার্টগুলো লাল-সবুজ রঙের। এটি আমাদের চেতনার রঙ। আলাদা তাৎপর্যের। গায়ে দিলে দেশের কথা ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়বে। দেশটি যিনি উপহার দিয়ে গেছেন সেই অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ হবে। সকলের হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ বেঁচে থাকুক।
তিনি বলেন, যত সুন্দর সুন্দর পোস্টার, যতগুলো কাজ হচ্ছে এখানে; সবগুলোর মাঝে যেন আমাদের এই আদর্শটা থাকে। আমরা সকলে বলি আসলে বঙ্গবন্ধুর নাম, আদর্শকে আসলে সেভাবে কতজন ধারণ করি সেটাও ভাবতে হবে।
রুবানা হক বলেন, পোশাক খাতে এখন ভীষণ কষ্টের সময় যাচ্ছে, সংগ্রামের সময় যাচ্ছে। আমরা আশা করি, জাতির জনকের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা (পোশাক খাত) বেঁচে থাকব এবং টিকে থাকব।
এ সময় কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, মুজিববর্ষ উদ্যাপনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হয়েছে। বিজিএমইএ তাদের অন্যতম। তাদের দেয়া টি-শার্ট উদ্বোধনী দিন পরার কথা ছিল। সেখানে বর্ণাঢ্য পরিবেশ তৈরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সারাবিশ্বই এখন উদ্বিগ্ন। সমাবেশে না গিয়ে আমরা এখন অনুষ্ঠানসূচী ভিন্নভাবে সাজাচ্ছি। পুরো বছরজুড়ে আমাদের নানা আয়োজন থাকবে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এসব টি-শার্ট বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রবিবারও মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্কয়ারে শূটিং শুরু হয়েছে প্যারেড স্কয়ারে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ক্যামেরায় ধারণ করা হচ্ছে। মুজিববর্ষের প্রথম দিন দেশের সবকটি টেলিভিশনে প্রচার করা হবে এ অনুষ্ঠান।
টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর জানান, এর পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাত ৮টায় আতশবাজির আয়োজন করা হবে। লোকসমাগম এড়িয়ে বাস্তবায়ন কমিটি এর আয়োজন করবে। আগ্রহী সাধারণ মানুষ নিজ উদ্যোগে এমন কিছুর আয়োজন করতে পারবেন বলেও মত দেন তিনি।