শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
বালাগঞ্জের মুসলিমাবাদ ইসলামিয়া হাফিজিয়া আলিম মাদ্রাসায় সুপার নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে গত দুইদিন ধরে এলাকায় উত্তজনা বিরাজ করছে। শনিবার সকালে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিপক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করে মাদ্রাসার সহকারী সুপার মাওলানা আব্দুস সোবহান ও জুনিয়র শিক্ষক সাইফুল ইসলামের অপসারন দাবী এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে স্বচ্ছভাবে পুন:নিয়োগের দাবী জানিয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার খবর পেয়ে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত ১৩ মার্চ শুক্রবার মাদ্রাসাটির সুপার পদে নিয়োগের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মির্জা আবু নাসের এম রাহেল জানান, শুক্রবার অনুষ্ঠিত মাদ্রাসার সুপার নিয়োগ নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের দাবী দাওয়া শুনা হবে বলে আশ্বস্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। পরীক্ষার্থী মাওলানা সৈয়দ বদরুল আলম বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক সাইফুল ইসলাম এবং সহঃসুপার আমাকে নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার জন্য তিন লক্ষ টাকা দাবী করেন। আমি টাকা দিতে অসম্মতি জানিয়েও শুক্রবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। আমার পরীক্ষা ভালো হলেও আমাকে নিয়োগ বোর্ড থেকে কোন কিছু না জানিয়ে উনারা তড়িঘড়ি করে গাড়িতে উঠে চলে যান। আমি জানিনা আমাকে নিয়োগদানের সুপারিশ হবে কিনা। অপর প্রার্থী মাওলানা আব্দুল হান্নান জানান, পরীক্ষায় তিনি প্রথম হয়েছেন। তবুও তাকে নিয়োগের বিষয়ে কোন ফলাফল জানানো হয়নি, পরবর্তিতে মাদ্রাসার বর্তমান সহঃসুপারকে ফোন দিলে তিনি জানান, আমি দ্বিতীয় হয়েছি। অথচ নিয়োগ কমিটি ফলাফলই ঘোষণা করেনি। অপর প্রার্থী মাওলানা লুৎফুর রহমান সিরাজী বলেন, পরীক্ষা দিয়েছি ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে আমি সন্দিহান।
নিয়োগ র্বোডের সুপারিশপ্রাপ্ত মাওলানা মো. আব্দুল মুমিত জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই পরীক্ষা সব প্রার্থী থেকে বেশি মার্ক পেয়ে বোর্ডের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর্থিক লেনদেনের কথা অস্বীকার করেন তিনি। বালাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ওই মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষাটি শতভাগ স্বচ্ছ হয়েছে। এখানে চুল পরিমাণ অনিয়ম হয়নি। নিয়োগ বোর্ডের নিয়মানুসারে প্রার্থীদের মধ্যে যে সব চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে তাকেই সুপারিশ করা হয়েছে। এখন মাদ্রাসা পরিচালানা কমিটি এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।