ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে জোরপূর্বক এক কৃষকের রূপায়িত ঘাস কাটে নেয়ার ঘটনা ভিন্ন খ্যাতে প্রবাহিত করতে রাতের আঁধারে ওই কৃষকের বসত ঘরে পরিকল্পিত হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় কৃষকের স্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। গত ২৯ জুলাই রাতে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ওসমানীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হামলার শিকার উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের কাইয়াখাইর গ্রামের আব্দুর রউফের স্ত্রী নাছিমা বেগম। অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ গতকাল শনিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাইয়াখাইর গ্রামের আব্দুর রউফ পাশর্^বতী এক খন্ড জমি বর্গা নিয়ে গবাদি পশুর জন্য ঘাস চাষ করেন।গত ১৮ জুলাই আব্দুর রউফের চাষকৃত ঘাস একই গ্রামের আতাউর রহমান আতার পুত্র শহিদ আলী জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে আব্দুর রউপ ও শহিদ আলীর মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি আপোষ নিষ্পত্তির আশ^াস দেয়ার পর তাৎক্ষণিক উভয় পক্ষ বিষয়টি মেনে নিলেও পরবর্তীতে শহিদ আলী গংরা সালিশ ব্যক্তিদের না জানিয়ে থানায় সাজানো অভিযোগসহ আব্দুর রুপকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি প্রদান করে। এরই জের ধরে ২৪ জুলই দিবাগত রাতে শাহিদ আলীসহ তার সহযোগিরা পরিকল্পিত ভাবে কৃষক আব্দুর রউফের বসতঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় আব্দুর রউফ বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী নাছিমা বেগম হামলাকারীদের কাছে এসবের কারণ জানতে চাইলে নাছিমা বেগমকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে বসতঘর ভাংচুর করে হামলাকারীরা। পাশর্^বর্তী লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হামলাকারীদের কবল থেকে আহত অবস্থায় নাছিমাকে উদ্ধার করে পাশর্^বর্তী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসা নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে খাইয়াখাইড় গ্রামের ইউসুফ আলী, আছদ্দর আলী, শাহিদ আলী, জাবেদ আহমদ, রব্বানী আহমদ, শানুর আহমদ, শহিদ আলী, আব্দুল আহাদকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে উল্লেথ করা হয়েছে, অভিযুক্ত শাহিদ আলীর পুত্র জাবেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সরকার বিরোধি কাজে লিপ্ত থাকায় তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ইতিপূর্বে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে জাবেদের হেফাজতে থাকা বেশকিছু জিহাদি বইসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। অন্যান্য অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধভাবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে নানা কায়দায় গ্রামের সহজ সরল মানুষের সাথে প্রতারণাসহ হয়রানী করে আসছে।
এ বিষয়ে জানতে ওসমানীনগর থানায় কর্মরত উভয় পক্ষের অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলা কান্তের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে শনিবার বিকালে সাংবাদিকরা একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বণিক জানিয়েছেন, দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগগুলির সার্বিক বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।