বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
নদী খননের মাটি নদীতে ফেলা হচ্ছে। অপরিকল্পিত নদী খনন কোন কাজেই আসছে না এলাকাবাসীর। কেবল কোটি টাকা অপচয়। তবে পাউবোর দাবী তাহিরপুর উপজেলা সদর বৌলাই নদী পরিকল্পিতভাবেই খনন হবে।
তাহিরপুর উপজেলা সদরের সাথে সারা দেশের নৌ-যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে বৌলাই নদীর তাহিরপুর থানার সামনের অংশ থেকে পশ্চিমে সোলেমানপুর পাইকরতলা নদী পর্যন্ত ৬.৭ কিলোমিটার নদী খনন শুরু হয়েছে ৯ মার্চ থেকে। এ কাজ করাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৭ কোটি ৩২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয়ে নদী খননের কাজ করছেন ঢাকার ঠিকাদার আলম খান। থানার পূর্ব দিকে একই নদীর ৪ কিলোমিটার ফাজিলপুর পর্যন্ত বিআইডব্লিউটি’ খনন করছে।
সরজমিন শুক্রবার তাহিরপুর থানার সামনে নদীতে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র। দু তিনটি এ্যাসকেভটর নদীর মাঝ থেকে কিছু মাটি কেটে নধীর তলদেশের মধ্যেই একপাশে রাখছে। এ অবস্থায় মাটি কাটলে বৃষ্টির দিণ শুরু হলেই বৃষ্টির পানিতেই আবার নদীর ভরাট হয়ে যাবে নদীতে পানি আসার প্রয়োজন পরবে না।
তাহিরপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক হাফিজ উদ্দিন বলেন, নদী খনন হয় ড্রেজার মেশিন দিয়ে, এখন দেখছি এ্যাস্কেভেটর মেশিন দিয়ে নদী খনন হচ্ছে। আর সে মাটি নদীর বুকেই রাখা হচ্ছে। এ কেবল সরকারী টাকার অপচয়।
তাহিরপুর সদর বৌলাই নদী খননের বিষয়ে ঠিকাদার আলম খান’ এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে কথা না বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে ভাল হবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাবিবুর রহমান জানান, একাজ কেবল শুরু হয়েছে। নদী ২০ মিটারই খনন হবে, নদীও পরিকল্পিতভাবেই খনন করা হবে।