শনিবার (২৯ ফেব্র“য়ারি) সিলেট মেট্র্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসী কর্তৃক পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ মহানগর দায়রা জজ মোঃ আব্দুর রহিম। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবুল কাশেম। তাছাড়াও অত্র সভায় সিলেটের ডি.সি, ডিবি প্রসিকিউশন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সহ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসীর সকল বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটগণ, সিলেট মেট্র্রেপলিটন পুলিশের এ.ডি.সি প্রসিকিউশন সহ এস.এম.পি-র সকল থানার ভারপ্র্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ এবং বন বিভাগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর, সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান ভূঁইয়া “ফৌজদারি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারে পুলশি ও ম্যাজস্ট্রিসেীর করনীয়” শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।উক্ত সভায় বিজ্ঞ সিএমএম, সিলেট উল্লেখ করেন যে, বিগত সময়ে সিলেট সিএমএম আদালতে সাজার হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিগত বছর ২০১৯ সালে শতকরা ৪৫ ভাগ মামলায় বিভিন্ন অপরাধীকে সাজা প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো জানান যে, বিগত জানুয়ারী ও ফেব্র“য়ারী মাসে বিভিন্ন আদালত হতে সাক্ষীদের প্রতি ইস্যূকৃত প্রসেস এর বিপরীতে ৩৮.৫% প্রসেস তামিল করা হয়েছে। পূববর্তী সময়ের তুলনায় প্রসেস তামিলের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি উপস্থিত সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ-কে অভিন্দন জানান। তৎসঙ্গে তিনি সিলেট মহানগর এলাকায় “জুয়ার” মতো সামাজিক ব্যাধি নির্মূলে পুলিশ বাহিনীকে আরো কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং জুয়া আইনের মামলার আসামীদের সাজা নিশ্চিতের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ে উক্ত মামলাগুলোর সাক্ষীদের-কে আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।সভায় উপস্থিত এসএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার অফিসার ইনচার্জ-গণকে অব্যাহতভাবে সাক্ষী উপস্থিতির হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সভায় উপস্থিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রাপ্তিতে বিলম্বের বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ-কে যে সকল মামলায় অদ্যাবধি ওসমানী হাসপাতাল হতে জখমী সনদপত্র সরবরাহ করা হয়নি তার একটি তালিকা উপ-পরিচালক, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট বরাবরে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ হিমাংশু লাল রায় অতি দ্রুত উক্ত বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে সকলকে আশস্ত করেন। সভায় উপস্থিত মহানগর দায়রা জজ মোঃ আব্দুর রহিম প্রধান অতিথির বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, একটি ফৌজদারী মামলার কাঙ্খিত ফলাফল উক্ত মামলায় উপস্থাপিত সাক্ষীদের গুণাগুণের উপর নির্ভর করে। তিনি এক্ষেত্রে মামলা তদন্তকালে যথাযথ ও প্রকৃত সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের উপর গুরুত্ব আরোপের নির্দেশনা দেন এবং উক্ত সাক্ষীগণ-কে আদালতে সঠিক প্রক্রিয়ায় এবং দ্রুততম সময়ে উপস্থাপনের জন্য উপস্থিত পি.পি এবং এ.পি.পি-গণের প্রতি আহ্বান জানান। সভায় উপস্থিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন চলমান মামলার জব্দকৃত আলামতগুলো যথাযথভাবে সংরক্ষণের অভাবে থানা প্রাঙ্গণে নষ্ট হচ্ছে এবং তার মূল্যমান হ্রাস পাচ্ছে মর্মে প্রধান অতিথির দৃষ্টি আর্কষণ করলে তিনি উক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতেগুলো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে কোন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন পুলিশ কর্তৃক হয়রানীর শিকার না হয় সেই বিষয়ে সচেতন থাকার নির্দেশনা দেন। বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান উক্ত কনফারেন্স-এ সঞ্চালনা করেন। বিজ্ঞপ্তি