দুই যুগ পর ওসমানীনগরে বশির হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

12

স্টাফ রিপোর্টার :
দুই যুগ পর ওসমানীনগরে বশির আহমদ হত্যার দায়েরকৃত মামলায় ২ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মোচ্ছাম্মদ রোকসানা বেগম এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে- সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সোনারপুর গ্রামের মৃত অচিনী শুল্ক বৈদ্যের পুত্র অজিত কুমার শুল্কাবৈদ্য (৫০) ও হবিগঞ্জ সদর থানার তেঘরীয়া গ্রামের আবু বক্করের পুত্র মুসলিম আলী (৪০)। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামী অজিত কুমার শুল্কাবৈদ্য আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও অপর সাজাপ্রাপ্ত আসামী মুসলিম আলী পলাতক ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বাহ্মণগ্রামের মৃত হাসমত উল্লার পুত্র বশির আহমদ (৩০) স্থানীয় একটি পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার ছিলেন। এই সুবাদে প্রতিদিনের ন্যায় বশির আহমদ ১৯৯৬ সালের ১৭ জুলাই ওই পেট্রোল পাম্পে চাকুরী করতে যান। ওইদিন রাত ১২টার দিকে বশির আহমদ পেট্রোল পাম্প থেকে বাড়ি ফিরার পথে পূর্ব শক্রতার জের ধরে আসামীরা তাকে স্থানীয় (কালীশাড়া) হাওরে নিয়ে যায়। সেখানে আসামীরা বশির আহমদকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। এদিকে বশির আহমদ বাড়ি ফিরতে না দেখে তার পরিবার বিভিন্নস্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করে পাননি। ২দিন পর ১৯ জুলাই বিকেলে আসামীদের তথ্য অনুযায়ী কালাশাড়’র হাওর থেকে বশির আহমদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মাহমদ আলী বাদী হয়ে অজিত কুমার শুল্কাবৈদ্য ও মুসলিম আলীকে আসামী করে বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-৭ (১৯-০৬-১৯৯৬)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে বালাগঞ্জ থানার এসআই সৈয়দ সাজেদুর রহমান ১৯৯৬ সালের ৭ আগষ্ট ২ আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং ২০০৮ সালের ২৩ মার্চ চার্জগঠন (অভিযোগঠন) করে আদালত এ মামলার বিচারকার্য শুরু করেন। দীর্ঘশুনানী ও ১৭ জনের মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী অজিত কুমার শুল্কাবৈদ্য ও মুসলিম আলীকে ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদেরকে উল্লেখিত যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট জুনেল আহমদ ও আসামীপক্ষে এডভোকেট হাবিবুর রহমান মামলাটি পরিচালনা করেন।