সিন্টু রঞ্জন চন্দ :
নগরীর প্রবেশধারের ৬টি রাস্তার মিলনস্থল নামে খ্যাত দক্ষিণ সুরমা হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বরের উন্নয়ন কাজের ধীরগতির ফলে অসনীয় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আর জনসাধারণ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বর রাস্তার এই মিলনস্থলে সড়ক ও জনপথের (সওজ)’র উন্নয়ন কাজ প্রায় ২ মাস ধরে চলছে। এই উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে প্রতিদিনই জনসাধারণ পড়ছেন ব্যাপক দু:সহ যানজটে। ছয়টি রাস্তার সমাহার হওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিনই অফিস আদালতমুখী কর্মকর্তা কর্মচারী, স্কুল-কলেজ গামী শিক্ষার্থী, রোগীবাহী এম্ব্যুালেন্স যাতাযাত করেন। সড়ক ও জনপথের ধীরগতির উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে এখানে মাস দু’এক ধরে যানজট লেগেই রয়েছে। এছাড়া সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের প্রবেশমুখ হওয়ায় ভারী যানবাহন ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে করে যেমন লোকজনের রাস্তা চলাচল করতে অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয় তেমনি বিপাকে পড়েন এম্ব্যুালেন্সবাহী রোগীরা। পাশাপাশি যানজট নিয়ন্ত্রণ রাখতে ট্রাফিক পুলিশও পড়তে হয় হিমশিমে।
এদিকে, হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বরের রয়েছে কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড, গ্রীণ লাইন, লন্ডন এক্্রপ্রেস, এনা এন্টারপ্রাইজ, ইউনিক, ও মামুন এন্টারপ্রাইজ কাউন্টার। এসব কাউন্টার ও স্ট্যান্ডের গাড়ীগুলো যাত্রী উঠা-নামার কারণেই এই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয় আর বেশী ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসহ জনসাধারণ।
ভুক্তভোগিরা জানান, যদি আগামী এক মাসের মধ্যে এই সংস্কার কাজ শেষ না করেন তাহলে বৃষ্টিতে লোকজন আরো বেশী ভোগান্তির শিকার হবেন। এ অবস্থার উত্তরণের জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে দায়ী করেছেন। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, রাস্তার আরসিসি পাকা করণের কাজ মজবুতে সংস্কার কাজ সম্মন্ন করতে কিছুটা কাজের বিলম্বিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সিলেট সড়ক ও জনপথের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: নুর মজিদদের সাথে মোবাইলফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি বলেন, হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বরের সৌন্দর্য্য ভিত্তি করার জন্য সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের সংস্কার কাজের অংশ হিসেবে উক্ত চত্ত্বরের কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আরসিসি ঢালাই কাজে নিয়ম অনুয়ায়ী ২৮দিন উপরাংশ পানি দিয়ে রাখতে হয়। তা না হলে রাস্তা মজবুতিকরণ হবে না। তিনি আরো বলেন, রাস্তা মজবুত করণের জন্য পানিতে ডুবিয়ে রাখার ফলে এ ধরণের কাজে কিছুটা দেরী হচ্ছে। এ সময়টুকু ভোক্তভোগীরা যেন ধৈয্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ১শ’ ৮৬ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ হচ্ছে ৫ হাজার ৫শ’ বর্গমিটার। যার ঘনত্ব ১২ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাই। অনুরূপভাবে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই এলাকায় একটি গোলচত্ত্বরও তৈরী করা হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাসে হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বরের চলমান এ কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।