কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিএনপির সমাবেশে ড. কামাল হোসেন এই সরকারকে লাথি মেরে উচ্ছেদ করবেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা গণতান্ত্রিক ভাষা হতে পারে না। এটা রাস্তার ভাষা বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, তার মতো ব্যক্তি কি করে এমন রাস্তার ভাষায় কথা বলেন তিনি সীমা ছাড়িয়ে গেছেন।
রবিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ ও পুরনো সেতুর পুনর্বাসন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বিএনপি আন্দোলনের নামে আবারো দেশে জ্বালাও পোড়াও করে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপযুক্ত জবাব দেবে বলেও জানান তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা না। তার এই মামলা সরকার করেনি। তার মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের মামলা। তাকে রাজনৈতিকভাবে মুক্ত করার সুযোগ নেই। তাকে কারামুক্ত করা আদালতের ব্যাপার।
এই মামলা বিলম্বের জন্য বিএনপি নিজেরাই দায়ী মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা সময়মতো আদালতে হাজিরা দিলে এই মামলা অনেক আগেই নিষ্পত্তি হয়ে যেতো।
আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় তিনটি সেতু জাপানের সহায়তায় আধুনিক ও যুগোপযোগী করে চারলেনে নির্মাণ করা হয়েছে। জাপানি কোম্পানি জাইকা আজ এই সেতু তিনটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করল।
সেতু ৩টির কাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগে সম্পন্ন করায় ১৩ শ’ ৮৮ কোটি টাকা ব্যয় কম হওয়ায় জাপান সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।
একই সাথে এই ৩টি সেতু দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে দেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সকল প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের জন্য শিক্ষণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানান তিনি।