শুক্রবার ছুটির দিন। তাই পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বইমেলায় হাজির হয়েছিলেন সিলেটের বইপ্রেমীরা। বেলা ২টা থেকেই পাঠক, দর্শনার্থীরা মেলা প্রাঙ্গনে আসতে শুরু করেন। বই কেনা, ছবি তোলা, গল্প-আড্ডায় মেলা প্রাঙ্গণ মুখর করে রাখেন বইপ্রেমীরা।
সপ্তম দিনের মত চলছে সিলেট বইমেলা। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা তিনটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নগরীর চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বইমেলা প্রাঙ্গণ মুখর ছিল বইপ্রেমীদের পদচারণায়।
নগরীর বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মোবাশি^র আহমদ বলেন, মেলা শুরু হয়েছে ১ তারিখ থেকে কিন্তু ব্যবসায়িক ব্যস্ততার কারণে আসতে পারিনি। আজ তাই ভাই ভাবিদের সাথে নিয়ে মেলায় এসেছি। বই কিনেছি, ছবি তুলেছি। অনেক ভাল লাগছে।
পঞ্চমবারের মত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বইমেলা আয়োজন করেছে সিলেট বন্ধুসভা। বইমেলা সুন্দর করতে ও পাঠকদের বিনোদন দিতে সিলেট বন্ধুসভার রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাহিত্য আড্ডা, আলোচনা সভা, শিশুদের আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, ফটোগ্রাফি ও সেল্ফি প্রতিযোগিতা ও নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন।
এদিকে পাঠক ও ক্রেতাদের আগমেন খুশি মেলায় আগত প্রকাশনা ও বই বিপনন প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরতরাও। গত ৬ দিনের চেয়ে আজ বেশি বই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তারা।
জসিম বুক হাউসের প্রোপ্রাইটর জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা এই ছুটির দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। কারণ ছুটির দিনে মেলায় দর্শনার্থীর পাশাপশি ক্রেতার সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। গত ছয় দিনের চেয়ে আজই বেশি বিক্রি হয়েছে।
মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে বিকাল সাড়ে চারটা থেকে। সিলেট বন্ধুসভার সভাপতি তামান্না ইসলামের সঞ্চালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ উপস্থাপন করে বন্ধুসভার কনিষ্ঠ সদস্য সাবাহ্ সুন্নআহ রহমান। সমবেত সংগীত পরিবেশন করে গ্রীন ডিজেবল ফাউন্ডেশন। বই পাঠ করেন রাহিদুজ্জামান রাজিব, একক সংগীত পরিবেশন করেন আশরাফুল ইসলাম অনি, নির্লেন্দু ভট্টাচার্য, লিংকন দাশ। আবৃত্তি করেন নাজমা পারভিন ও আনোর হোসেন রনি। মেলায় ‘ধূম্রজাল’ নাটক পরিবেশন করে একদল ফিনিক্সের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে সেলফি প্রতিযোগিতার এনামুল মুনিরের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম।