মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের জাগছড়া চা বাগানে স্ত্রী হাতে চা শ্রমিক স্বামী বিভীষণ বাউরী হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
১২ মার্চ সোমবার দুপুরে নিহত বিভীষণের স্ত্রী সুশীলা বাউরীকে গ্রেফতার করে মৌলভীবাজার আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলামের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
প্রাপ্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে ২৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় শ্রীমঙ্গল শহরতলীর জাগছড়া চা বাগানে একজন ব্যক্তি নিজের মাথায় দা দিয়ে কুপিয়ে আঘাত করে নিজেকে আহত করে এবং পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক মো.ফজলে রাব্বী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিভীষন বাউরী (৫০) মৃতদেহ উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়। তার মৃত্যুর সঠিক কারন নির্ণয়ের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পূন্ন করা হয়।
ওসি লিখিত বক্তব্য আরো বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্ত হইয়া পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, নিহত বিভীষণ বাউরী (৫০) এর মৃত্যু কোন আত্মহত্যা নয় এটি একটি হত্যাকান্ড।
এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য নিহত বিভীষণ বাউরীর স্ত্রী সুশীলা বাউরী ও মেয়ে বৃষ্টি বাউরীকে থানা ডেকে এ বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী সুশীলা বাউরী হত্যার বিষয় স্বীকার করেন। মৃত বিভীষণ বাউরী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের প্রায়ই প্রহার করতেন। এ কারনে বিভীষণ স্ত্রী সুশীলা বাউরী স্বামীর উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন।
ঘটনার দিন ২৬ মার্চ ২০১৭ইং তারিখে রাত ১০টার দিকে নিহত বিভীষণ বাউরী তার স্ত্রী সুশীলা বাউরীকে মারধর ও ঘরের তৈজসপত্র ভেঙ্গে ফেললে তার স্ত্রী সুশীলা বাউরী স্বামী বিভীষণ বাউরীকে মাথায় দা দিয়া কোপ দেয় এবং এলোপাতারি মারধরের পর তার মৃত্যু হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, শ্রীমঙ্গল থানার উপ-পরিদর্শক মো.ফজলে রাব্বী বাদী হইয়া নিহতের স্ত্রী সুশীলা বাউরী (৪৫) কে আসামী করে শ্রীমঙ্গল থানার একটি হত্যা মামলা রুজ করেন। মামলা নং-১৩। তারিখ ১২মার্চ ২০১৮ইং। এই মামলা আসামীকে গ্রেফতার পূর্বক বিজ্ঞ মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, হত্যা মামলার আসামী সুশীলা বাউরী বিজ্ঞ আদালতে সেচ্ছায় ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।