৪ বছরে ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ভারত ॥ ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ৫৩টি এলাকা ভারতের সীমানার আওতায় এসেছে

9

কাজিরবাজার ডেস্ক :
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনপিআর নিয়ে ভারতজুড়ে চলছে অনিশ্চয়তার চরম পরিস্থিতি। রাজনৈতিক মহলে মূল আলোচনা তো বটেই, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে নাগরিকত্বের ইস্যুটি। এমনই আবহে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতের সংসদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নতুন একটি তথ্য সামনে আনা হয়েছে। গত ১০ বছরে কতজন বিদেশি নাগরিককে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে, তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তার জবাবে লোকসভায় জানিয়ে দেয়া হয়েছে শেষ ১০ বছরে ২১ হাজারেরও বেশি বিদেশিকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ভারত সরকার। তার মধ্যে শেষ ৪ বছরে প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশিকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সংসদ সদস্য (যিনি আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীও) নিত্যানন্দ রাই এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে অর্থাৎ ২০১০ সাল থেকে মোট ২১ হাজার ৪০৮ জনকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ভারত সরকার। তার মধ্যে গত ৪ বছরে, অর্থাৎ ২০১৫ সাল থেকে ১৯ হাজার ৪ জনকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশের। এই ৪ বছরে ১৪ হাজার ৮৬৪জন বাংলাদেশি নাগরিককে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে বলে জানান ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
সংসদে তিনি আরও জানান, ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ৫৩টি এলাকা ভারতের সীমানার আওতায় এসেছে। ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত অবশ্য নাগরিকত্ব দেয়ার সংখ্যাটা অনেকটাই কম। এই সময়ের মধ্যে মাত্র ২ হাজার ৪০০ জনকে নাগরিকত্ব দিয়েছিল ভারত সরকার। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরেই বিদেশিদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়ার সংখ্যাটা অনেক বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নিত্যানন্দ।
প্রতি বছর কত বিদেশিকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে, তাও বিশদে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ৯৮৭ জন বিদেশিকে নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। এই ক’বছরে ২০১৫ সালেই ১৫ হাজারের বেশি বিদেশিকে ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটা বড় অংশ বাংলাদেশের। তবে এর পাশাপাশি ২০১৬ সালে ৩০৮, ২০১৭ সালে ৫১ ও ২০১৮ সালে ৪৪৫ জন বাংলাদেশিকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ও তারা বেআইনি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করায় তাদের ফেরত পাঠানো হয় বলে দাবি নিত্যানন্দ রাইয়ের।