‘প্রাথমিক শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন আসছে। তাই এই পরিবারের সকল সদস্যকে একযোগে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডসহ সহকারি শিক্ষকদের বেতনবৈষম্যও অচিরে নিরসন হতে যাচ্ছে। তবে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিরলস কাজ করে যেতে হবে।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমদ গত রবিবার সকাল ১১ টায় সিলেট পিটিআই মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সিলেট জেলার কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এ কথাগুলো বলেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগের উপ-পরিচালক এ.কে.এম সাফায়েত আলমের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ, সিলেট পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট মো. ইব্রাহীম, অধিদপ্তরের কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মুন্তাকিমের সঞ্চলনায় মতবিনিময় সভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিলেট সদর উপজেলার খালের পার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন মানিক। পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন সিলেট সদর উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার নাথ। মতবিনিময় পর্বটি পরিচালনা করেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিরুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিলেট বিভাগের উপ-পরিচালক এ.কে.এম সাফায়েত আলম বলেন, ‘ইচ্ছে করলেই আমরা বিদ্যালয়ের পরিবর্তন সূচিত করতে পারি। আমরা যে যে অবস্থায় আছি, আমাদের যা যা সুযোগ-সুবিধা আছে সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে শিশুদের জন্য শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি। প্রধান শিক্ষকদের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। সরকারের অঙ্গীকার, ‘এসডিজি’ বাস্তবায়নে বিদ্যালয়ের সকল স্টেক-হোল্ডারদের নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষাকে বেগবান করতে হবে।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, আমার অফিসে কোনো ফাইল আটকে থাকে না। আমরা ইতিমধ্যে সিলেট জেলার প্রায় সব উপজেলার সকল শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ী করণের কাজ শেষ করেছি। যারা বাকি আছেন, উপজেলা থেকে ফাইল আসলেই কাজ করে দেবো।
মহাপরিচালক তাঁর সমাপনী বক্তব্যে আরও বলেন, ‘আমি সিলেটের সন্তান। তাই সিলেটের অনেক সমস্যার কথা জানি। বিশেষ করে শিশুদেরকে প্রমিত উচ্চারণে কথা বলার জন্য শিক্ষকদের যতœবান হতে হবে। সরকার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে দুই বছর করতে চাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে চার বছর বয়সে শিশুরা বিদ্যালয়ে আসবে। তবে তা হবে কেবলই খেলাধূলা আর ইচ্ছেমতো আঁকাবুকি, গান, আবৃত্তি ইত্যাদি। প্রাক-প্রাথমিকের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে আরও একজন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। তাছাড়া গানসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তি