বাংলাদেশ সিরিজ ইংল্যান্ডে খেলবে আয়ারল্যান্ড!

11

স্পোর্টস ডেস্ক :
ভারতসহ সুপার লিগের টেবিলে থাকা সেরা আটটি দল সরাসরি খেলবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। বাকি দুটি জায়গার জন্য বাছাইপর্ব খেলতে হবে পাঁচ দলকে।
সাতটি দল ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছে, সরাসরি খেলার জন্য স্পট বাকি আছে আর একটি। সেই অষ্টম দলটি হতে চায় আয়ারল্যান্ড। সেজন্য সুযোগের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করার উদ্যোগ নিচ্ছে তারা।
সুপার লিগে আয়ারল্যান্ডের আর একটি সিরিজই বাকি আছে। সেটি আগামী মে মাসে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেই সিরিজ থেকে পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট নিতে মুখিয়ে আছে আইরিশরা। তাই সিরিজটি নিজেদের মাঠে না খেলে বরং ইংল্যান্ডের মাঠে খেলার ইচ্ছ্বা প্রকাশ করেছে দলটি। এমনটাই জানিয়েছে ইএসপিএনক্রিকইনফো।
কেননা আয়ারল্যাল্যান্ডে সেই সময় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, আর ‘ইংলিশ সামারের’ কথা তো যুগ যুগ ধরে প্রচলিত। তবে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড বিশ্বাস করে ইংল্যান্ডে খেললেই ম্যাচগুলোতে ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই ম্যাচ তিনটি কেলমসফোর্ডে খেলতে চায় তারা। এজন্য আলোচনা করছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে।
২১ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে ১১ তম অবস্থানে আছে আয়ারল্যান্ড। সমান ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে ১০-এ শ্রীলঙ্কা, ১৯ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯-এ এবং ২৪ ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে আটে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর কোনো ম্যাচ বাকি নেই সুপার লিগে।
সম্প্রতি ইংল্যান্ড সিরিজ শেষে ৭৯ পয়েন্ট ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু শেষ ওয়ানডেতে সেøা-ওভার রেটের কারণে এক পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয় তাদের। তাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায় আয়ারল্যান্ডের জন্য। কারণ সুপার লিগে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ দুটি ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে। সেই সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ৯৮। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড যদি বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় তাহলে তাদেরও ৯৮ পয়েন্ট হবে।
তখন রানরেটের ব্যবধানে যে এগিয়ে থাকবে সেই দলই সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবে। বর্তমানে রানরেটে দক্ষিণ আফ্রিকার (-০.৪১০) চেয়ে এগিয়ে আছে আয়ারল্যান্ড (-০.৩৮২)।
তবে এখানে শ্রীলঙ্কাও প্রাসঙ্গিক। কেননা সুপার লিগের শেষ সিরিজটি তারা খেলবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সিরিজটি ৩-০ ব্যবধানে জিতলে বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করবে লঙ্কানরা। কিন্তু ২-০ ব্যবধানে জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৯৭, তখন লড়াইটা হবে আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে। কেননা এক পয়েন্ট এগিয়ে থাকবে এই দুই দল। যদি দক্ষিণ আফ্রিকা, আয়ারল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা নিজ নিজ সিরিজে ধবলধোলাই হয়, তাহলে কপাল খুলে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
তাই অনেক যদি-কিন্তুর ওপর নির্ভর করছে আয়ারল্যান্ডের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা। সিরিজটি ইংল্যান্ডে আয়োজিত হলে মাঠে বসে সরাসরি তামিম-সাকিবদের খেলা দেখার সুযোগ পাবেন প্রবাসী বাঙালিরা। ২০১০ সালের পর থেকে আইসিসি টুর্নামেন্ট ছাড়া আর ইংল্যান্ড সফর করেনি বাংলাদেশ। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো সিরিজ নেই টাইগারদের।
বাংলাদেশসহ বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজ বাতিল করায় সুপার লিগে ২১টি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
এদিকে আগামী মার্চে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসছে আয়ারল্যান্ড। ওয়ানডে সিরিজটি অবশ্য সুপার লিগের অংশ নয়। আয়ারল্যান্ডের আগে চলতি মাসেই তিন ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে ঢাকায় আসছে ইংল্যান্ড।