নানা কর্মসূচির ম্যধ্যমে বিশ^ ক্যান্সার দিবস পালন করছে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডেকেল কলেজ হাসপাতাল। দিনটি উপলক্ষে রেডিওথেরাপি বিভাগের উদ্যোগে ‘আমি আছি, আমি থাকব- ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালীর উদ্বোধন করেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডেকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুছুর রহমান। র্যালীটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালী পরবর্তি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় তলায় সেমিনান রুমে রেডিওথেরাপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোঃ এস্তেফছার হোসাইন এর সভাপতিত্বে ক্যান্সার বিষয়ের উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রেডিওথেরাপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সরদার বনিউল আহমেদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডেকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ নন্দ কিশোর সিনহা। বিশিষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডেকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুছুর রহমান। ডিপার্টমেন্টাল প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন যথাক্রমে রেডিওথেরাপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মোঃ এস্তেফছার হোসাইন, নাক, কান গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নূরুল হুদা নাইম, সার্জারী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ এ.কে.জেড আলম, মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নাহিদা জাফরীন, গাইনী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ খুর্শেদা তাহমীন।
ক্যান্সার বিষয়ের উপর বিষদ বক্তব্য রাখেন গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ নাসরিন আক্তার, গাইনী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা বেগম, রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মুসা চৌধুরী, প্রফেসর ডাঃ শিশির চক্রবর্তী, প্রফেসর ডাঃ ডি এ হাসান, সহযোগী অধ্যাপক (শিশু সার্জরী) ডাঃ শামসুর রহমান, মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ মনিরুজ্জামান, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ গোলঅম রহমান প্রমুখ। এ ছাড়াও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডেকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী, সেবিকা বৃন্দ ও বিভিন্ন ঔষধ বিপনন কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন যে, সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে জীবন জাপনে অভ্যস্ত হতে হবে তা না হলে নানা করনেই আমাদের শরীরে ক্যান্সার বাসা বাধতে পারে। তবে সময়মতো এর চিকিৎসা করা গেলে ক্যান্সারকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। আমাদের দেশে এখন এ রোগের ভাল চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে এবং আমাদের ভাল মানের চিকিৎসক আছেন। ধূমপান, পান-জর্দা-তামাকপাতা একেবারেই খাওয়া যাবে না, সবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত নিয়মীত বেশিবেশি খেতে হবে । শারীরিক ব্যায়াম না করা, শারীরিক স্থূলতা বা বেশি ওজন এ সব ব্যাপারে বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে এবং বিশেষ করে ধূমপান বর্জন এবং একে অনুৎসাহী করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাসয়ানয়িক পদার্থ, ফরমালিন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে পারলে ক্যানসারের প্রকোপ অনেকটাই এমনিতেই কমানো সম্ভব। বিজ্ঞপ্তি