কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী ২৫ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে শুরু হবে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বুধবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। দুপুরে নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, ‘২৫ জুলাই ময়মনসিংহ থেকে ভোটার তালিকার হালনাগাদের কাজ শুরু হবে। বিগত ভোটার তালিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, ওই তালিকা থেকে হয়তোবা কিছু বাদ পড়েছে, কিছু বাকি রয়ে গেছে কিংবা নারী ভোটারের সংখ্যা কিছুটা কম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে হয়তো বাদ দেয়া হয়নি। এধরনের কিছু বিষয় আমরা জানতে পেরেছি। সুতরাং আমরা চাচ্ছি একটা নির্ভূল ভোটার তালিকা আগামী নির্বাচনের আগে দিতে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটার তালিকা প্রশ্নাতীত করতে তথ্যসংগ্রহকারীদের এবার বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
ইসি বলেন, ‘কোনো দলীয় কার্যালয় নয়, বরং বাড়ি বাড়ি গিয়েই ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এজন্য পারিশ্রমিক বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে বসে ভোটার করা হলে সেটি হবে দণ্ডনীয় অপরাধ।’
রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে ও নারী ভোটারদের সংখ্যা বাড়াতে কমিশনের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতে কমিশন খুবই সতর্ক। কারণ ভোটার হওয়ার সুবাদে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাবে এবং পাসপোর্ট পাবে। বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধায় বিশেষ অঞ্চলগুলোতে কমিটি করে দেয়া হয়েছে। আর নারীদের ভোটার হওয়ার জন্য প্রচার বাড়ানো হবে। মসজিদ মন্দিরে প্রচার চালানো হবে। তাদের স্বামীরাও যাতে উৎসাহ দেয় সেই ব্যবস্থাও করা হবে। কারণ কেউ ভোটার না হলে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন না। আর জাতীয় পরিচয়পত্র না পেলে এসম্পর্কিত সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবেন। এছাড়া ফেসবুকসহ স্যোসাল মিডিয়ায় ভোটার তালিকার প্রচারণার বিষয়টিও ভেবে দেখা যায়।
শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আশা করি কোনো ধরনের চাপ আসবে না। আর চাপ এলেও যেটুকু আমাদের প্রয়োগ করার ক্ষেত্র আছে সেটুকু প্রয়োগ করব। এ বিষয়ে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চাপ আমরা পাইনি। নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা প্রদান করা সরকারের যে দায়িত্ব- এখন পর্যন্ত আমরা যতটুকু বুঝতে পারছি সেটা আমরা পাবো।’
শাহাদাত বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের উদ্দেশ্য হলো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তাদের কী ভাবনা এবং তারা কী চায়। উনাদের কাছ থেকে ইসি শুনবে ও জানবে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের কী করণীয় তা ঠিক করা হবে।
আসন্ন নির্বাচনে সবাই অংশ নেবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের কাজটা সুষ্ঠুভাবে করতে পারি তাহলে আমার বিশ্বাস ভোটাররা আস্থা ফিরে পাবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস কমিশনের প্রতি তাদের আস্থা থাকবে।’