কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রচার সংখ্যায় সারাদেশের দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থান ধরে রেখেছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাহসী পত্রিকা দৈনিক জনকণ্ঠ। দৈনিক জনকণ্ঠের সঙ্গে সমসংখ্যক প্রচার সংখ্যা (দুই লাখ ৯০ হাজার) নিয়ে পাশাপাশি রয়েছে কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, ইত্তেফাক ও আমাদের সময়। প্রচার সংখ্যায় শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দৈনিক প্রথম আলো। ইংরেজী দৈনিকের মধ্যে প্রচার সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে ডেইলি স্টার।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে প্রচলিত দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ২৭৭টি।
সংসদে দেয়া তথ্যমন্ত্রীর তালিকা অনুযায়ী, প্রচার সংখ্যায় অষ্টম স্থানে দৈনিক সমকাল, নবম স্থানে দৈনিক সংবাদ এবং দশম স্থানে রয়েছে দৈনিক ভোরের কাগজ। অন্যদিকে ইংরেজী দৈনিকের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ডেইলি স্টার (প্রচার সংখ্যা- ৪৪ হাজার ৮১৪), দ্বিতীয় স্থানে যৌথভাবে ফাইন্সিয়াল এক্সপেস ও ডেইলি সান (৪১ হাজার) এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা ট্রিবিউন (৪০ হাজার ৬শ’)।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান সংস্কৃতিবান্ধব সরকারের আমলে চলচ্চিত্রকে যুগোপযোগী উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মানসম্পন্ন ও সৃষ্টিশীল চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকর অনুদান প্রদান করছে। অনুদানপ্রাপ্ত কয়েকটি চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা অর্জন করেছে। এছাড়াও দেশীয় সংস্কৃতি লালনে বর্তমান সরকার সৃজনশীল চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারী অনুদানে ছবি নির্মাণের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে।
মন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও দেশীয় সংস্কৃতি লালনে যে কোন ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণে কেউ আগ্রহী হলে সরকার বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। সরকারের এ সব পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে বলে আশা করা যায়।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মোছাঃ শামীমা আক্তার খানমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে ড. হাছান মাহমুদ জানান, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা-সংগ্রাম, স্বাধীনতা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্রগুলো তৈরি করা হচ্ছে। প্রমাণ্যচিত্রগুলো তৈরি সম্পন্ন হলে সেগুলো গণযোগাযোগ অধিদফতরের মাধ্যমে দেশের সব জেলা, উপজেলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
