মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার জেলায় গত শুক্রবার সারাদিন ঝলমলে রোদ থাকলেও গতকাল শনিবার সকাল থেকেই কুয়াশায় আচ্ছন্ন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও সূর্যের দেখা মিলছে না। এই অবস্থায় রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে বলে শনিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, গতকাল শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শীত জনিত কারণে চা প্রধান অঞ্চল মৌলভীবাজার জেলার চা শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের মানুষের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অপরদিকে বাড়ছে শীতজনিতকারণে আক্রন্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
চিকিৎসকরা জানান, শীতকালে কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কারণে বড়দের মতো শিশুরাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে তাদের সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ার প্রকোপ রয়েছে। এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। হাসপাতালেও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অন্যদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারীর মাঝামাঝিতে বইতে পারে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। আর শেষের দিকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলতে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকবে। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।
আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাবনার ইশ্বরদীতে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৌলভীবাজার জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণপুর্নাবাসন কর্মকর্তা আশরাফ আলী বলেন, মৌলভীবাজার জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় ৪১ হাজার ২০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও দুই হাজার বিতরণ করা হয়েছে। নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ ৭ উপজেলা বিতরণ করা হয়েছে। তারমধ্যে শিশু পোষাক কিনার জন্য দুই লাখ।’